স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় এক শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ ওই শিক্ষিকার সঙ্গে ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শিক্ষিকা সেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার অবসাদেই আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্র। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুতে।- এনডিটিভি
শুক্রবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ের কাছে অম্বত্তুর এলাকার একটি সরকারি স্কুলে কর্মরত। মৃত ওই ছাত্র দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে ওই শিক্ষিকার কাছে পড়তে যেত। সেসময় প্রায়শই সে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যেত।
কিন্তু দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পরই সম্প্রতি আত্মহত্যা করে ওই ছাত্র। এরপর ওই ছাত্রের মা অভিযোগ করেন, তার ছেলের মৃত্যু পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। এরপর তদন্তে নেমে ওই ছাত্রের মোবাইলে শিক্ষিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থার বেশ কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। আর সেই ভিত্তিতেই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অম্বত্তুর থানার ইনস্পেক্টর জ্যোতিলক্ষ্মী বলেছেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা সম্প্রতি নিজের বাগদানের পর ওই ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দেন। কিন্তু শিক্ষার্থী এই সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিল। এ নিয়ে অবসাদে ভুগতে শুরু করে ওই ছাত্র।
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর এক মাস আগে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। এই ঘটনাকে বিরল বলেও আখ্যায়িত করেছে পুলিশ।
এদিকে শিশুদের যৌন হেনস্থা নিয়ে কাজ করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যা রেড্ডি পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, লিঙ্গ বিচার না করে নাবালক-নাবালিকাদের যৌন হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে এ ভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে তামিলনাড়ুতেই ২০ বছরের এক গর্ভবতী তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলেজ শিক্ষার্থী ওই তরুণী নিজের অপ্রাপ্তবয়স্ক সহপাঠীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আমাদেরসময় ডটকম