1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দর্শন - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শাপলা কাপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলো গৌরীপুরে ২৪ জন গৌরীপুর ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  শ্যামনগর পৌরসভায় প্রায় ২ বছর পর জম্ম নিবন্ধন জটিলতার অবসান শরণখোলায় বিএনপি নেতার পক্ষে মহিলা দল ও  এতিম শিশুদের মধ্যে ঈদ বস্ত্র বিতরণ  অভয়নগরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ইফতার  বিতরণ  শ্যামনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সেনাবাহিনীর হাতে আটক-৩ সুন্দরবনের গাছের ডাল থেকে এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করলো দুই জেলে অভয়নগরে সহপাঠির সাথে মারামারি,মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা মাগুরায় শিশু ধর্ষনে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিলো ক্ষুব্ধ জনতা কালীগঞ্জে পরিষদে ৩ যুবককে পেটানো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দর্শন

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ২২২ জন খবরটি পড়েছেন
শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধু

মৃদুল কান্তি ধর

১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালী জাতি এবং মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কলঙ্কিত বেদনাবিধুর এক দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে এ দেশের কতিপয় বিশ্বাসঘাতক, ষড়যন্ত্রকারী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে বাঙালির স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর পরিবারের সদস্যসহ নির্মমভাবে নিহত হন।

খুনিরা এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তাঁর রাজনীতির দর্শন ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তি ও একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান ও আত্মত্যাগ যেমন এ দেশের জনসাধারণের কাছে তাকে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত করেছে, তদ্রূপ তার অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী রাজনৈতিক দর্শন তাকে বিশ্ব দরবারে স্থান করে দিয়েছে একজন ‘বিশ্ব মানবতার প্রতীক’রূপে।

বঙ্গবন্ধুর এই অসাম্প্রদায়িক মানবিক ব্যক্তিত্বের কথা চিন্তা করেই হয়তো কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, “আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো”। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম গুণ ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে আপন করে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা।

বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের রাজনীতির সাধনার মূলে অন্যতম আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িকতা।  আর এই অসাম্প্রদায়িক আদর্শেই পরিচালিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ। ব্যক্তিমানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলেও সব ধর্মের মানুষের প্রতি ছিল সমান সম্মান এবং ভালোবাসা। তিনি ছোট‌বেলা থেকেই অসাম্প্রদায়িক ছিলেন।

স্কুল জীবন থেকেই তিনি বন্ধু-বান্ধবের সাথে যে আচরণ করতেন তা ছিল সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক। নিজে মুসলিম লীগের একজন সদস্য হ‌য়েও অন্য কোনো দলের প্রতি তার বিদ্বেষ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছিলেন, “আমার কাছে তখন হিন্দু-মুসলমান বলে কোনো জিনিস ছিল না। হিন্দু ছেলেদের সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব ছিল। একসাথে গান-বাজনা খেলাধুলা বেড়ানো-সবই চলত।” ( সূত্র:অসমাপ্ত আত্মজীবনী,পৃষ্ঠা-১১)

কলকাতায় অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৪৬ সা‌লে যখন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হ‌য়ে‌ছিল, তখন তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে দাঙ্গা বিরোধী তৎপরতায় নি‌য়ো‌জিত ছিলেন এবং হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের লোক‌কে নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তাছাড়া তখন শে‌রে বাংলা, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে যে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এদেশে গড়ে উঠেছিল তিনি ছিলেন তার একজন সমর্থক।

১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তান-ভার‌তে যেসব দাঙ্গা হ‌য়ে‌ছে তা‌তে কয়েক লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন, কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হ‌য়ে‌ছে, চরম অশান্তির সৃষ্টি হ‌য়ে‌ছে। বঙ্গবন্ধু মুসলিম লীগের রাজনীতি পরিবর্জনের লক্ষ্যে মুসলিম লীগ‌কে আওয়ামী মুসলিম লীগ ও প‌রে আওয়ামী লীগে পরিবর্তন করেন।

এই পরিবর্তনের লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগ‌কে একটা অসাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো প্রত্যেকের স্ব-স্ব ধর্ম পালন করার অধিকার। রাষ্ট্রের ব্যাপারে ধর্ম কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, আর ধর্মের ব্যাপারে রাষ্ট্র থাকবে নির্লিপ্ত। সকলকে তিনি বাঙালি হিসেবে দেখতেন।

এ বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে  বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মোনায়েম সরকার তার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান : জীবন ও রাজনীতি’ (প্রথম খন্ড) বইয়ে লিখেছেন “হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আদিবাসীসহ সব মানুষকে তিনি নিজ ভাই জ্ঞানে দেখেছেন; কোনো ভেদাভেদ রাখেননি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাদের প্রচলিত ভাষায় কথা বলতেন এবং কোনো সভা-সেমিনারে ভাষণের শুরুতেই উপস্থিত সবাইকেই ‘ভায়েরা আমার’ বলে সম্বোধন করতেন।”

অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই তার পক্ষে রাজনৈতিক অঙ্গনে সকল বাঙালিকে একীভূত করা সম্ভব হয়েছিল। সকল বাঙালিকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। তাই তার ৬ দফা হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলকে ধর্মীয় বিরোধ উপেক্ষা করে এক হতে সাহায্য করে। এ কারণেই ৭০-এর নির্বাচনে এক অবিশ্বাস্য ফল দেখা যায় এবং সেকারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রকৃত পটভূমি রচিত হয়।

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সহ সকল ধর্মের মানুষ এবং কামার, কুমার, জেলে, তাতী, মেহনতী মানুষ, শ্রমিক, দিনমজুর, আমলা, কামলা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ সকল পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে চারটি মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা যুক্ত করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন,” ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।

হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে; মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে; খ্রিস্টান, বৌদ্ধ- যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, বাংলার মানুষ ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চায় না। রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে বাংলার বুকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ ব্যবহার করে,তাহলে বাংলার মানুষ যে তাকে প্রত্যাঘাত করবে, এ আমি বিশ্বাস করি”। 

বঙ্গবন্ধু পবিত্র ধর্মকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়েছেন। কারণ, ধর্ম রাজনীতির জন্য নয়, ধর্ম হল মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির জন্য। তিনি বলেছিলেন “পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না” ( সূত্র: বজ্রকণ্ঠ ১ম খণ্ড, বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত পাঁচটি ভাষণ, মো. ইউসুফ আলী ফাউন্ডেশন, ২০০৯, পৃ. ১৫)। 

বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং নিজ দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা রক্ষায় কতটা দৃঢ়চেতা ছিলেন তা বোঝা যায় ১৯৭৩ সালে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সত্তাকে জানতে তার অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো—

বাদশাহ ফয়সাল : আপনারা কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়ার কাছ থেকে কী চাইছেন?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরিফে নামাজ আদায়ের অধিকার চাইছে। এক্সেলেন্সি, আপনিই বলুন সেখানে তো কোনো শর্ত থাকতে পারে না? আপনি হচ্ছেন পবিত্র কাবা শরিফের হেফাজতকারী। এখানে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানের নামাজ আদায়ের হক আছে।….আমরা আপনার কাছে ভ্রাতৃসুলভ সমান ব্যবহার প্রত্যাশা করছি।

ফয়সাল : এসব তো রাজনৈতিক কথাবার্তা হলো না। এক্সেলেন্সি, বলুন আপনারা কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়ার কাছ থেকে কী চাইছেন আসলে?

শেখ মুজিব : এক্সেলেন্সি, আপনি জানেন, ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। তাই আমি জানতে চাইছি, কেন সৌদি আরব আজ পর্যন্ত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না?

ফয়সাল : আমি করুণাময় আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে জবাবদিহি করি না। তবু আপনি একজন মুসলমান তাই বলছি, সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক রিপাবলিক’করতে হবে।

শেখ মুজিব : বাংলাদেশের জন্য এটা প্রযোজ্য হতে পারে না। বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলেও এখানে এক কোটির ওপর অমুসলিম রয়েছে। সবাই একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে। তা ছাড়া এক্সেলেন্সি, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, পরম করুণাময় আল্লাহ তো শুধু ‘আল মুসলিমিন’না, তিনি রাব্বুল আলামিন, সকলের স্রষ্টা। ক্ষমা করবেন, আপনাদের দেশের নাম তো ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি অ্যারাবিয়া’নয়। বরং মরহুম বাদশাহ ইবনে সৌদের সম্মানে ‘কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া’। কই, আমরা কেউ তো এ নামে আপত্তি করিনি।
(সূত্র : বঙ্গবন্ধুর নীতি নৈতিকতা,২০১৯, হাসান মোরশেদ)

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর ডালিম রেডিওতে ঘোষণা করেছিলেন, “দেশে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে এবং সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র”।  এ থেকে বোঝা যায় খুনিরা এই হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তাঁর অসাম্প্রদায়িক দর্শন এবং একই সাথে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্যতম মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল।

সাম্প্রদায়িকতা এখন বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এর পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানারূপে ধর্মের ব্যবহার হয়ে আসছে। গত দুই বছর আগেই আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করলাম, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এখনো রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল নানা রকম প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

আর কয়েক মাস পরেই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে স্বাধীনতাবিরোধী একটি মহল এদেশে হাজার বছর ধরে চলে আসা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে চালিয়ে আসছে।

ভবিষ্যতে আমাদের সকলের সতর্ক থাকতে হবে যেন সাম্প্রদায়িক কোন শক্তি দেশকে ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলতে না পারে, বিনষ্ট করতে না পারে হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একসঙ্গে বসবাস করতে গেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, আদর্শ, দর্শনের চর্চা করা গেলে তার স্বপ্নের সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।

মৃদুল কান্তি ধর
সাবেক শিক্ষার্থী , ইএমবিএ (মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট)
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews