ভর্তি হোন ধানমণ্ডি গভ. বয়েজ হাইস্কুলে। সেখানে কৃতিত্বের সাথে এস এস সি সম্পন্ন করেন ও নটরডেম কলেজ হতে এইচ এস সি শেষ করেন। ভর্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও বুয়েটে চান্স পান। বুয়েটে মেধাতালিকায় তার স্থান ছিলো ১৫৬ তম। সেই সুবাদে তিনি বুয়েটে সি এস ই ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তিহন এবং সেখান থেকে বিএস সি ও মাস্টার্স শেষ করেন। এখানেও তিনি বিএস সি তে ৩য় স্থান অর্জন করেন ও লেকচারার হিসেবে বুয়েটের সি এস ই বিভাগে যোগদান করেন। পরে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
২০১৪ সালে ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটি তে পি এইচ ডি প্রোগ্রামে স্কলারশিপ পেয়ে তিনি ও তার সহধর্মিনী (সেহেলী জ্যাবিন) কানাডার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। ২০২০ সালে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পি এইচ ডি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। তার লেখা রিসার্চ পেপারসমূহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং পুরষ্কার অর্জন করেছে। এছাড়া তার আবিষ্কার এর উপর একাধিক পেটেন্ট ইতোমধ্যে গৃহিত হয়েছে। পি এইচ ডি প্রোগ্রাম এ তার অসাধারণ কৃতিত্ব এর জন্য গত ২৩ অক্টোবর ২০২০ ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যালামনাই গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড পান, যা ওয়াটালু ইউনিভার্সিটিতে প্রথম কোন বাংলাদেশির গোল্ড মেডেল পাওয়া। এর স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটির ২০২০ সালের সমাবর্তনের ভার্চুয়াল পি এইচ ডি সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে ভ্যালেডিক্টোরিয়ান বক্তব্য দেয়ার সম্মান অর্জন করেন। ভ্যালেডিক্টোরিয়ান বক্তব্যতে নাশিদ তার এই অর্জনের জন্য পিছনের মানুষদের বিশেষ করে তার মা, সহধর্মিনী, পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান স্মরণ করেন। একইসাথে নব্য পি এইচ ডি অর্জনকারীদেরকে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে পৃথিবীকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য অবদান রাখতে অনুরোধ করেন। বর্তমানে তিনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ রিজাইনা তে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বর্তমানে সহধর্মিণী ও পুত্র সন্তান (সারফান) কে নিয়ে কানাডায় বসবাস করছেন।