মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছিল হংকং। তবে ‘অঘটন’ হয়নি, লঙ্কানরাই শেষমেশ পূর্ণ পয়েন্ট পেয়েছে৷ এতে টেবিল-টপারও তারাই৷ দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে সুপার ফোরের দৌঁড়ে একধাপ এগিয়ে গেছে নুয়ান থুসারা-হাসারাঙ্গারা।
অবশ্য, অঘটন ঘটিয়ে হংকং জিতলে বাংলাদেশেরই মূলত ফায়দা হতো৷ সুপার ফোরের সমীকরণও একেবারে সহজ হতো৷ সবমিলিয়ে যদি কিন্তুর মারপ্যাঁচে এখনো সুপার ফোরের আশা জিইয়ে আছে লিটন দাসের দলের। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
এই ম্যাচে জিতলেই সুপার ফোরের আশা জিইয়ে থাকবে তামিম-ইমনদের। কিন্তু আফগানদের সবশেষ কয়েকটি ম্যাচের পারফরম্যান্স মোটেই টাইগারদের পক্ষে কথা বলছে না। এই ফরম্যাটে দুই দলের সবমিলিয়ে ১২ সাক্ষাতে সাতবারই জয়জয়কার আফগানদের। আর আবুধাবির এই মাঠ আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বাড়িই, তাই কন্ডিশনও তাদের বাড়তি প্রত্যাশা জোগাচ্ছে।
অবশ্য, কেবল জিতলেই চলবে না। সুপার ফোর নিশ্চিতে গ্রুপ পর্বের পরীক্ষায় শেষ ম্যাচেও দৃষ্টি রাখতে হবে লিটন বাহিনীর৷ আফগান-লঙ্কানদের লড়াইয়ে চেনা শত্রু শ্রীলঙ্কার জয়ের প্রার্থনায় মগ্নও হতে হবে তামিম-তাসকিনদের। কেননা, আফগানদের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেলে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হবে ৬।
এতে গ্রুপসেরা হয়ে কোনো ধরনের হিসাব-নিকাশ ছাড়াই সুপার ফোরে উঠবে গেল আসরের রানার্সআপরা। কিন্তু ঘটনাক্রমে যদি শ্রীলঙ্কা আফগানদের সঙ্গে হেরে যায় এবং আজ বাংলাদেশ জিতে যায়, তবে তিন দলেরই পয়েন্ট হবে সমান ৪। তখনই জটিল হবে সমীকরণ। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে নেট রানরেট। বর্তমানে নেট রানরেটে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। ফলে, আফগানিস্তানের সঙ্গে জয়ের পাশাপাশি নেট রানরেটও বাড়িয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
কিন্তু আজ বাংলাদেশ হেরে গেলে ফিকে হয়ে যাবে সব হিসেব-নিকেশ! তখন বাংলাদেশের পয়েন্ট মোটের ওপর ২। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা ও আফগানরা এক ম্যাচ হাতে রেখেই ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরে উঠবে৷