কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহকে (৬৫) মারধর করার প্রতিবাদে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে। মিছিল-পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো: সাজ্জাদ রোমনসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়।
তবে ঝাড়ু মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ ঝাড়ু মিছিল করে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের মির্জার ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা। তারা এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।
এর আগে, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া গ্রামের মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকে মারধর করার অভিযোগ উঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে।
কুলখানি অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা আনছার উল্যাহকে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রামপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুই পক্ষকে বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় আমিসহ ৭ জন আহত হয়।
তিনি বলেন, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ এ্যসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।