1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
মরক্কোয় গত ৪ দিন ধরে ১০৪ ফুট গভীর কুয়ায় পড়ে আছে শিশু রায়ান - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় চতুর্থ ধাপে বিনামূল্যে ৪৬ জন পেলেন চোখের চিকিৎসা শুধু সরকার পতন নয়, ব্যবস্থারও বদল চাই -জুলাই ঘোষণায় ড. ইউনূস নেত্রকোণায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে চা দোকানি নিহত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরলো দণ্ডিত নেতাদের ছবি ছাত্র জনতার বিজয়ের এক বছর পূর্তিতে শ্যামনগরে বিএনপির বিজয় মিছিল পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কলমাকান্দায় চা দোকানি খুন বিশ্বাস, বিনয় ও নিষ্ঠাবান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জুয়েল শর্মা অন্তর  গোপালগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি: এক বছরে বিচার শেষের আহ্বান জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন আনিসুল, স্বপদে বহিষ্কৃতরাও

মরক্কোয় গত ৪ দিন ধরে ১০৪ ফুট গভীর কুয়ায় পড়ে আছে শিশু রায়ান

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩৫৯ জন খবরটি পড়েছেন
সংগৃহীত

আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় গত চারদিন আগে পিতার সামনে পাঁচ বছরের এক শিশু ১০৪ ফুট গভীর কুয়ার মধ্যে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামের একটি কুয়ায় পড়ে যাওয়া শিশু রায়ান কে উদ্ধারের জন্য উদ্ধার কর্মীরা মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে শিশুটির নাম রায়ান। তার পিতা চারদিন আগে যখন কুয়াটি মেরামতের কাজ করছিলেন তখন সে হঠাৎ করে ৩০ মিটার (১০৪ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।

মরক্কোর উত্তরাঞ্চলীয় একটি গ্রামে শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা মরক্কোও প্রতিবেশি আলজেরিয়ার মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। উদ্ধারকাজ দেখতে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

সমবেত লোকজন হর্ষ-ধ্বনি দিয়ে উদ্ধারকারীদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন। এবং মরক্কোর সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়াতে এই খবরটি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। রায়ানকে উদ্ধার করে কূপের ভেতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে- এরকম একটি দৃশ্য দেখতে সারা দেশ যেন রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে।

রায়ানকে উদ্ধারের এই চেষ্টা গোটা আরব বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

কুয়াটি বেশি প্রশস্ত না হওয়ার কারণে এখন সেখানে বড় আকারের গর্ত তৈরি করে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বুলডোজার দিয়ে এই গর্ত করা হচ্ছে কুয়ার সমান্তরালে। কিন্তু সেখানকার মাটিতে পাথর ও বালি থাকার কারণে জায়গাটি ধসে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উদ্ধার-কর্মীরা বলছেন, তারা বালকটির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। গত মঙ্গলবার থেকে বালক রায়ানকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

তারা আশা করছেন গর্তটি যখন কুয়ার গভীরতার সমান পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে তখন আড়াআড়ি সুড়ঙ্গ তৈরি করে বালকটিকে বের করে আনা সম্ভব হবে।

একজন উদ্ধারকারী আবদেসালাম মাকোদি শুক্রবার দুপুরে বলেন, “আমরা গত তিনদিন ধরে একটানা কাজ করছি। ফলে লোকজন ক্লান্ত হয়ে পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু তারপরেও পুরো টিম ধৈর্য ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

বলা হচ্ছে এই উদ্ধার অভিযান অত্যন্ত জটিল, তবে উদ্ধার-কর্মীরা তাদের অভিযানের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে ভূমিধ্বসের আশঙ্কায় শিশুটিকে উদ্ধারের এই তৎপরতা আরো বেশি বিপদজনক হয়ে উঠেছে।

বালক রায়ানকে উদ্ধারের কাজে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় একজন বিশেষজ্ঞ মোহামেদ ইয়ানি কোয়াহাবি, তিনি বলেছেন কুয়াটি সরু হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি জানান স্থানীয় অনেক স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্ধার-কর্মীরা বার বার কুয়ার নিচে নামার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

“সমস্যা হলো কুয়াটি খুব সরু। এর ব্যাস মাত্র ২৫ সেমি (৯.৮ ইঞ্চি)। কুয়ার ২৮ মিটার গভীরে গিয়ে এটি আরো বেশি সরু হয়ে গেছে। ফলে আমরা তার কাছে পৌঁছাতে পারছি না,” বলেন তিনি।

উদ্ধারকারী দলের একজন বলেন, “আমরা যতোই তার কাছে যাচ্ছি, কুয়াটি ততোই সরু হয়ে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে আরো নিচে নামা কঠিন। একারণে আমরা একটা গর্ত করে ভেতরে নামার চেষ্টা করছি।”

রায়ানের পিতা, দুর্ঘটনার সময় যিনি সেখানে কাজ করছিলেন, বলেন এর পর থেকে তিনি এক পলকও ঘুমাতে পারেন নি এবং রায়ানের মা খুব ভেঙে পড়েছেন।

“ওই মুহূর্তে আমি তার ওপর থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলাম, আর তখনই সে কুয়ার ভেতরে পড়ে গেল। এর পর থেকে আমি ঘুমাইনি,” স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে একথা বলেছেন রায়ানের পিতা।

মরক্কোর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় কাঁদছিলেন রায়ানের মা। তিনি বলেন, “পুরো পরিবারটিই তাকে খুঁজতে গিয়েছিল। তখন আমরা বুঝতে পারি যে সে আসলে কুয়ার ভেতরে পড়ে গেছে। তাকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমি এখনও আশা ছাড়িনি।”

বৃহস্পতিবার কুয়ার ভেতরে একটি ক্যামেরা ফেলা হয়েছিল। তার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে শিশুটির এখনও জ্ঞান আছে। যদিও তার মাথায় সামান্য আঘাতের কিছু চিহ্ন রয়েছে।

শিশুটির যাতে শ্বাস নিতে কষ্ট না হয় সেজন্য উদ্ধার-কর্মীরা কুয়ার ভেতরে অক্সিজেনের মাস্ক ফেলেছেন। ভেতরে খাবার এবং পানিও দেওয়া হয়েছে।

কুয়াটির কাছে চিকিৎসকদের একটি দলও অবস্থান করছে। যে কোনো সময়ে রায়ানকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে তারা প্রস্তুত।

তাকে কুয়ার ভেতর থেকে তুলে আনার পর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সেখানে একটি হেলিকপ্টারও পাঠানো হয়েছে। বিবিসি

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews