বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি।।
শনিবার মাগরিব বাদ বেনাপোলের ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আরাবিয়া বাগে জান্নাত কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে দস্তারবন্দী ও বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে তিন জন হাফেজ’কে পাগড়ি পরিয়ে সনদপত্র বিতরণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদাণকালে আবেগের সহিত খুবই মর্মাহতবস্থায় কথাগুলি বললেন তিনি।
বেনাপোল জামিয়া আরাবিয়া বাগে জান্নাত কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ¦ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত দস্তারবন্দী ও বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি বলেন, আমার পিতা মরহুম আকিজ উদ্দিন যখন মৃত্যুবরণ করেন তখন আমাদের অনেক সম্পদ থাকা সত্তে¡ও তার বিদায়ের বেলায় কেবল একটুকরো কাফনের কাপড় ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। যদি কবরের মধ্যে কিছু নিয়ে যাওয়া যেতো আর কাফনের পকেট থাকত তাহলে আমরা তার কাফনের পকেটে অনেক সম্পদ দিতে পারতাম। কিন্তু পারেনি।
তিনি বলেন, মৃত্যুর পরে আমরা যে কবরে শায়িত হবো সেই কবরে একমাত্র কয়েক গজ কাফনের কাপড় আর নেক আমল ছাড়া কিছুই নেওয়া যাবেনা। পৃথিবীর মোহে যে সম্পদের জন্য আমরা খুব বেশি ছোটাছুটি করছি তাতে টাকা বিনিয়োগসহ অনেক ধরনের ন্যায় অন্যায় অবিচার আর কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী এবং তার সবকিছু রেখে যেকোন সময় আমাদেরকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে অন্ধকার কবরে চলেযেতে হবে। কিন্তু যে আমল একমাত্র কবরে নিয়ে যাওয়া যাবে তা করতে কোন টাকা বা পুঁজি বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়না এবং তেমন পরিশ্রমেরও প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন কেবল মহান দয়ালু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ও প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এঁর দেখানো পথে চলা।
এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে অর্থ উর্পাজন, হালাল রুজি আহরন, কারো মনে কষ্ট না দিয়ে পথচলা, কারো সম্পদ লুট করে না খাওয়াসহ বেশি বেশি আল্লার ইবাদত করার তাগিদ দেন।
উক্ত দস্তারবন্দী ও বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে যে তিনজন হাফেজ’কে পাগড়ি পরিয়ে সনদপত্র বিতরণ করলেন তারা হলেন, নাটোরের ডাক্তার জাকেরুল ইসলামের ছেলে হাফেজ মুহাম্মদ নাঈম ইসলাম, যশোরের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও লিটন হোসেনের ছেলে মুহাম্মদ সাব্বির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত দস্তারবন্দী ও বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ঢাকা’র মাওলানা মুফতি উসামা। বিশেষ বক্তা খুলনার মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলহাজ¦ সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক ও যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ এনামুল হক মুকুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিন, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যাস সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবল হোসেন রাসেল, শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন তোতা, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বজলুর রহমান, পৌর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলী কদর সাগর, যুগ্ম সম্পাদক মহাতাব উদ্দিন, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আহাদুজ্জামান বকুল, সদস্য জসীম উদ্দিন, সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।