অতি ধনীরা পারলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে একা একা দ্বীপ কেনা সম্ভব নয়। তাই ‘লেটস বাই অ্যান আইল্যান্ড’ (আসুন, একটা দ্বীপ কেনা যাক) প্রকল্পের মাধ্যমে অনেককে নিয়ে এক দ্বীপ কেনার প্রকল্প নেন মার্শাল মেয়ার। এর অবস্থান ক্যারিবীয় রাষ্ট্র বেলিজের উপকূলের অদূরে।
চাঁদা তুলে একটা গোটা দ্বীপ কিনে ফেললেন দু’জন।
দ্বীপটির নাম কফি কায়ে। ক্যারিবিয়ানের দ্বীপপুঞ্জের অজস্র দ্বীপের মধ্যে এটি একটি। আপাতত সেই দ্বীপের মালিক গ্যারেথ জনসন এবং মার্শাল মায়ের নামে দুই বন্ধু।
গ্যারেথ এবং মার্শালই আপাতত ওই দ্বীপের রাজা। আবার তাঁরাই প্রজাও। কারণ কফি কায়ে একটি জনবসতিহীন দ্বীপ। তবে মানুষ না থাকলেও এই দ্বীপের নিজস্ব সরকার আছে। আছে জাতীয় পতাকা এমনকি, প্রতীকও।
যদিও কফি কায়ে এখনও পূর্ণ রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি। পেলেও এই দ্বীপদেশ মাইক্রোনেশন বা ক্ষুদ্রতম দেশের মর্যাদা পেতে পারে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, দ্বীপের আয়তন নিতান্ত কম হলেও (১.২ একর) এই প্রকল্পের পেছনে রয়েছে উদ্যোক্তাদের এক বিরাট স্বপ্ন।
তাঁরা চাইছেন, দ্বীপটিতে আস্ত একটা রাষ্ট্র গড়ে তুলতে। অদ্ভুত এই প্রকল্পটি শুরু হয় ২০১৮ সালে। ‘ক্রাউডফান্ডিং’, অর্থাৎ জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের পদ্ধতিতে অর্থ তোলা হতে থাকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ উদ্যোক্তারা ‘কফি কায়ে’ নামের এই দ্বীপ কিনে ফেলেন।
দ্বীপে নতুন দেশ গঠন করার লক্ষ্যে জাতীয় পতাকা ও সংগীতও প্রবর্তন করা রয়েছে। এমনকি বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে গঠন করা হয়েছে একটি সরকারও। সম্প্রতি তাঁরা দ্বীপটি সফরে যান। উদ্যোক্তারা নিজেরা দ্বীপটিকে স্বাধীন বললেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো স্বীকৃতি দেয়নি একে।