আরিফ জেবতিক
বিমানের ওয়েবসাইটে টিকিট কাটা যেত, সেটা বন্ধ হয়ে গেল। ‘সিটা’ থেকে ভিন্ন আরেক প্রতিষ্ঠান ‘সেবর’ কার্যক্রমে স্থানান্তর করা হয়েছে। মাঝখানে ৬ মাস ১৮ দিন বিমানের অনলাইন সেবা বন্ধ ছিল। এটা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি!
রেলের এপ দিয়ে টিকিট কাটা যেত, সেটা বন্ধ হয়ে গেল। নতুন কন্ট্রাক্টর এসেছে, এখন দেড় বছর সময় লাগবে পুরো সেবা আবার পুনস্থাপিত হতে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সকে স্মার্ট কার্ডের মধ্যে আনা হলো, এক কোম্পানি থেকে আরেক কোম্পানিতে সুইচ করতে গিয়ে দুই বছরের বেশি সময় ধরে আটকে ছিল ১২ লাখ ৪৫ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ! হাজার হাজার ড্রাইভার মাসের পর মাস স্লিপ দিয়ে ড্রাইভ করে আর বিআরটিএতে গিয়ে নবায়ন করে। হয়রানির চূড়ান্ত।
ই- পাসপোর্টের সাইটে এখান থেকে ঢোকা যায় তো ওখান থেকে ফিরতি ঢোকা যায় না। মানে তালেগোলে বানানো সাইট। গত এক সপ্তাহ ধরে সার্ভার ডাউন, ই-পাসপোর্টের ব্যাকলগে কমপক্ষে ৫ লক্ষ লোক!
—এই হলো ডিজিটাইলেজশনের অবস্থা।
ডিজিটাল মন্ত্রীর কাজ হচ্ছে পর্ণসাইট বন্ধের নামে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার সাইট অফ করা অন করা আর ফেসবুকে বাংলায় কেন নাম লেখা হয় না, সেটা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করা। মাঝে মাঝে চুরি করে বিমানবালাদের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা।
আরেকজন সেমি ডিজিটালের কাজ হচ্ছে পে-পাল আসছে বলে প্রতি চান্দে একবার ঘোষনা দেয়া।
আমি এ কিতার মাঝে ডিজিটালাইজেশন ঢালতেছি!
ফেসবুক থেকে নেয়া