স্টাফ রিপোর্টার ।।
অভয়নগরের শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ায় বসবাসকারী নাম মান্দার পাটোয়ারী, বয়স তার আনুমানিক ৩৬ বছর। মান্দার পাটোয়ারীর বাবা আলী আহম্মদ পাটোয়ারী তার পিতার ওপর অভিমান করে নোয়াখালী থেকে বাড়ি ছেড়ে এসে নওয়াপাড়ায় বসবাস শুরু করেন।
খুলনার দৌলতপুরের খান ব্রাদার্সের জুট মিলে চাকরি করার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে নওয়াপাড়ায় বসবাস করার পর স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়েকে রেখে মারা যান আলী আহম্মদ পাটোয়ারী। মারা যাওয়ার পূর্বে বড় ছেলে মান্দার পাটোয়ারীর কাছে বলে যান, তার পারিবারিক কিছু তথ্য। সেই তথ্যের আলোকে মান্দার পাটোয়ারী দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তার বাপ-দাদার ভিটেমাটির খোঁজ করে চলেছেন। কিন্তু বাপ-দাদার ভিটেমাটির সন্ধান এখনও মেলাতে পারেননি তিনি।
নওয়াপাড়া শহরে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে বসবাস করলেও তার মনে সর্বদা বাপ-দাদার ভিটেমাটির পরিচয় খোঁজার বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছে। শনিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিক তারিম আহমেদ ইমনের শরণাপন্ন হয়ে বাপ-দাদার ভিটেমাটি খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, তার মা আয়েশা বেগম, ছোট ভাই এনামুল পাটোয়ারী ও ছোট বোন চম্পা খাতুনকে রেখে গত ১৬ বছর আগে তার বাবা আলী আহম্মদ পাটোয়ারী মারা যান।
মান্দার পাটোয়ারী কাঁদতে কাঁদতে আরও জানান, বাবার মুখে তারা শুনেছেন তার বাপদাদার পৈত্রিক বাড়িঘর নোয়াখালী-লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। কোন গ্রাম বা কোন পাড়া বা কোন উপজেলায় বাড়ি-ঘর এসব কিছুই জানেন না তারা। শুধু জানেন, মান্দার পাটোয়ারীর দাদার নাম হেদু পাটোয়ারী। দাদির নাম ফাতেমা বেগম, বড় চাচার নাম গোলাম মোস্তফা পাটোয়ারী বাবার মুখে শুনেছেন তার একমাত্র ফুফুর নাম ফুলি। বাপ-দাদার পরিবারের এসব সদস্যদের নাম মুখে নিয়ে আশা করছেন, একদিন তিনি তার বাপ-দাদার ভিটেমাটির ঠিকানা খুঁজে পাবেন। দেখা মিলবে তার রক্তের চাচা-ফুফুর পরিবার। পরিচয় মিলবে পাটোয়ারী বংশের লোকদের।
মান্দার পাটোয়ারী তার বাবার কাছে শোনা এসব তথ্যের চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারেননি। এখন তিনি বাপ-দাদার ভিটেমাটি খুঁজে পেতে সবার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।