ডেস্ক রিপোর্ট।।
মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামীকাল শুরু হচ্ছে পবিত্র হজ। টানা ২ বছর সীমিত ভাবে হজ পালনের পরে বিদেশ থেকে সাড়ে আট লাখসহ মোট ১০ লাখ পূর্ণ ডোজ টিকাপ্রাপ্ত মুসলমান নিয়ে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৬ জুন) লাখ লাখ মুসলমান ইসলামের পবিত্রতম স্থান মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে কাবা শরীফ প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করেন।
বৃহস্পতিবার হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে মূল অনুষ্ঠানের আগে গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মিনায় চলে যাবেন।
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ২৩টি হাসপাতাল এবং ১৪৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া মিনায় হজযাত্রীদের চিকিৎসার জন্য চারটি হাসপাতাল ও ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। রোগীদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য এক হাজারেরও বেশি শয্যা রয়েছে এবং বিশেষ করে হিটস্ট্রোক করা রোগীদের জন্য ২০০টিরও বেশি শয্যা রয়েছে। একই সঙ্গে ২৫ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী কেউ অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
অন্যদিকে এবার হজ হচ্ছে শুক্রবারে। মুসল্লিরা মিনা থেকে যাবেন আরাফার ময়দানে। সেখানে খতিব সাহেব হজের খুৎবা প্রদান করবেন। এরপরই হবে আজান। আজানের পর ইমামের পিছনে মুসল্লিরা প্রথমে দুই রাকাত জোহরের নামাজ আদায় করবেন। তারপর আসরের নামাজ আদায় করবেন। এরপর সবাই রওনা হবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। মুজদালিফায় পৌঁছে এক আজানে আবারো সবাই মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। আরাফার দিন শুক্রবার হলেও হজযাত্রীদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ হবে না।