নাজমুল ইসলাম সবুজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে গাড়ীর ড্রাইভার ও শ্রমিক সেজে আমদানীকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ীর মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরির মালামালসহ ৩জনকে আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। সোমবার গভীররাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
চুরির ঘটনায় আজ মঙ্গলবার(২৬ জুলাই) দুপুরে নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিদর্শক মোঃ আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকৃতরা হচ্ছেন- খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হুমায়ূন কবিরের ছেলে ফাহিম শেখ (২৫), বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সুলতান আহম্মেদের ছেলে মোঃ জসিমউদ্দীন ও পিরোজপুর জেলা সদরের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ রাজু (৩০) ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, একটি চক্র এ বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এসব অপকর্ম করে আসছিলেন। ওই চক্রের সদস্যরাই সোমবার রাতে গাড়ীর ড্রাইভার ও শ্রমিক সেজে জেটির ভিতরে ঢুকে পড়েন। পরে তারা বন্দরে আমদানী হওয়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ীর বিভিন্ন মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে পিকআপ গাড়ীতে উঠিয় বের হওয়ার সময় নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় আটককৃতদের ব্যবহৃত খুলনা মেট্রো- ন ১১-০৭০৭ নম্বরের পিকআপটি থেকে চারটি নেভিগেশনাল সফটওয়্যার এসডি কার্ড, দুইটি রিমোট চাবি, চারটি চার্জার, একটি চার্জার ক্যাবল, তিনটি পেনড্রাইভ, একটি সিগন্যাল লাইট, একটি ক্যামেরা, ১৪ টি কার্টার ব্লেড ও একটি ছাতা জব্দ করা হয়। তিনি জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে ।
এদিকে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা’র) লিয়াজোঁ অফিসার শেখ আবেদুর মুবিন বলেন, সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের থেকে মোংলা বন্দর এগিয়ে থাকায় এই বন্দর ব্যবহার করছি আমরা। কিন্তু আমদানী হওয়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ীর যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার ঘটনা আমাদের প্রতিনিয়ত হতবাক করছে। এই চোরাই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করে আসছে। দ্রুত এসব বন্ধ করা না গেল আমরা মোংলা বন্দর ব্যবহারে উৎসাহ হারাবো। তিনি বলেন, বন্দরের কঠোর নিরাপত্তার কারণে ৮০ শতাংশ চুরি হ্রাস পেয়েছে , বাকী ২০ শতাংশ চুরি ঠেকানো গেলে এ বন্দরে গাড়ী আমদানী আরও বাড়বে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির দায়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ তিনজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবারই জেলজাহতে পাঠানো হবে।