1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
দুষ্টু মানুষ, জীন-পরী ও দুনিয়ার ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়  - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় চতুর্থ ধাপে বিনামূল্যে ৪৬ জন পেলেন চোখের চিকিৎসা শুধু সরকার পতন নয়, ব্যবস্থারও বদল চাই -জুলাই ঘোষণায় ড. ইউনূস নেত্রকোণায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে চা দোকানি নিহত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরলো দণ্ডিত নেতাদের ছবি ছাত্র জনতার বিজয়ের এক বছর পূর্তিতে শ্যামনগরে বিএনপির বিজয় মিছিল পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কলমাকান্দায় চা দোকানি খুন বিশ্বাস, বিনয় ও নিষ্ঠাবান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জুয়েল শর্মা অন্তর  গোপালগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসি: এক বছরে বিচার শেষের আহ্বান জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন আনিসুল, স্বপদে বহিষ্কৃতরাও

দুষ্টু মানুষ, জীন-পরী ও দুনিয়ার ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায়
 

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ১০৬৩ জন খবরটি পড়েছেন

-বিলাল হোসেন মাহিনী

মানুষের জীবনে চলার পথ সর্বদা মসৃণ নয়। পৃথিবীতে ভালো মানুষের পাশাপাশি দুষ্ট মানুষের অভাব নেই। নানাভাবে তারা মানুষকে কষ্ট দেয়। কেউ সরাসরি ক্ষতি করে, আর কেউ পরোক্ষভাবে। পরোক্ষ ক্ষতির ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রমূলক নানা চেষ্টা-তদবির করে থাকে। সেগুলোর একটি হলো- যাদুটোনা করা। তাছাড়া জীন-পরী কিংবা শয়তানও নানা ধরনের ক্ষতি করতে পারে। দুনিয়াতে কিছু দুষ্টু জিন আছে, যারা সুযোগ পেলেই মানুষের ক্ষতি করে বসে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এরা বাচ্চা ও নারীদের ওপর আক্রমণ করে।

আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ সমূহ :  
ক) চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা। খ) কোন কারণ ছাড়াই শরীর গরম থাকা। গ) ব্যাকপেইন। বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা। ঘ) (মহিলাদের ক্ষেত্রে) অনিয়মিত মাসিক (পুরুষদের ক্ষেত্রে) প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা। ঙ) প্রায়সময় পেট ব্যথা থাকা। চ)  দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোন রোগ ভালো না হওয়া। ছ) তীব্র মাথা ব্যথা, ঔষধ খেয়েও তেমন লাভ হয়না। জ) হঠাৎ করে কারো প্রতি তীব্র ঘৃণা বা তীব্র ভালোলাগা অনুভব হওয়া। ঝ) পরিবার, বাসা, সমাজের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা। ঞ) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা অথবা মেজাজ খারাপ থাকা। ট) কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা হওয়া। ঠ) শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া। ড) ঠিকমত ঘুমাতে না পারা। ঘুমালেও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। ঢ) স্বপ্নে কোনো গাড়ি বা প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা (যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, সাপ)। ণ) স্বপ্নে কোন ফাঁকা বাড়ি, মরুভূমি বা গোরস্থানে হাঁটাচলা করতে দেখা। ত) স্বপ্নে বিভিন্ন যায়গায় পানি দেখা (যেমন সাগর, নদী, পুকুর, ইত্যাদি)। থ) স্বপ্নে ঘনঘন কোথাও আগুন জ্বলতে বা কিছু পোড়াতে দেখা। দ) স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা বা কোন পাখি অথবা বড়বড় গাছ দেখা। ধ) উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা। ন) জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলা প) ঘুম থেকে আতঙ্কিত অবস্থায় বসে পড়া বা দাঁড়িয়ে যাওয়া ফ) জাগ্রত অবস্থায় এমন কিছু দেখা, যা স্বপ্ন মনে হবে। ব) হঠাৎ হঠাৎ বেহুঁশ হয়ে যাওয়া। ভ) সব সময় ভীতু ভাব থাকা। ম) মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময় স্বামী-সন্তান ও সংসার বিরক্তিকর হয়ে ওঠা। য) উঁচু স্থান থেকে পড়ে যাওয়া অথবা পানিতে পড়ে যাওয়া। র) শরীরের ভারসাম্যহীনতা অনুভব করা। ল) অল্পতেই রেগে যাওয়া। এছাড়াও, কাজকর্মে অনীহা ও বিরক্তি প্রকাশ করা। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ করা। হঠাৎ হঠাৎ আশ্চর্য ধরনের দুর্গন্ধ পাওয়া। এমন কাজ করেছে মনে হওয়া, যা সে করেনি। কাজেকর্মে বেশি ভুল হওয়া। দীর্ঘ সময় টয়লেটে অবস্থান করা, কারো সঙ্গে কথা বলা ইত্যাদিসহ আরো অনেক অদ্ভুত আচরণ দেখা দিতে পারে।

জীন-পরীর আছর ও যাদুটোনা থেকে বাঁচার উপায় :

পবিত্র কুরআনের চিকিৎসা : দু’হাত একত্র করে- শুরা ইখলাস, সূরা নাস, সূরা ফালাক এইভাবে এক সাথে ৩ বার পরে হাতে ফু দিয়ে সারা শরীরে মুছে দিলে সমস্ত প্রকার জাদু,বান,জ্বীনের দৃষ্টি থেকে আল্লাহ বাচিয়ে রাখবেন ইনশা আল্লাহ। যখন হযরত মুহাম্মাদ সা. কে বান মারা হয়েছিল তখন এই ৩ টি সূরা নাজিল হয় এবং এইভাবে পড়ার ফলে তিনি বান থেকে মুক্তি পান।
আনাস বিন মালিক রা. বর্ণিত, রাসুল সা. এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-
আরবি : اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিররুসাকমা।
অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)। এছাড়াও
ক) সর্বদা পবিত্র থাকা। কোনো কারণে গোসল ফরজ হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করা। খ) পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ও শরিয়ত মোতাবেক চলা। গ) ঘরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুন্নাহ বর্ণিত দোয়া পড়া। ঘ) ঘরে প্রবেশের সময় সালাম করে প্রবেশ করা। ঘ) প্রস্রাব-পায়খানায় যাওয়ার সময় দোয়া পড়া এবং সেখান থেকে ফিরেও দোয়া পড়া। কারণ এসব জায়গায় দুষ্ট জিনদের আনাগোনা বেশি থাকে। ঙ) ঘরে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করা। বিশেষ করে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা।

চ) প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমানো। ছ) খাবারের সময় মাসনুন দোয়া পড়া। কারণ দোয়া না পড়লে দুষ্ট জিনের আমাদের খাবারে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে। গোশত খাওয়ার পর হাড়গুলো পানিতে না ফেলা, কারণ এগুলো জিনদের খাবার। এগুলো নষ্ট করলে তারা কষ্ট পায়। অনেক ক্ষেত্রে এ কারণেও আক্রমণ করে বসতে পারে। জ) ঘরে কোনো প্রাণীর কঙ্কাল ও মূর্তিজাতীয় জিনিস না রাখা। ঝ) নির্জন বা ময়লার স্তুপ, আগুনের কু-লীর কাছে একাকী না যাওয়া। ঞ) জনমানবহীন স্থান, গভীর জঙ্গলে রাতের বেলায় একা সফর না করা। ট) কোনো অবস্থায় ভয় পাওয়া যাবে না। কারণ ভয় পেলে তারা আরো বেশি সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। ঠ) ভরদুপুর ও সন্ধ্যায় বাচ্চাদের ঘরের বাইরে না রাখা। ড) সকাল-সন্ধ্যা এবং শোবার সময় সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিনবার করে পড়ে হাতের মধ্যে ফুঁক দিয়ে শরীরে মুছে নেওয়া। ঢ) সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা। এবং নারী ও শিশুদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া। রাতের এক প্রহর যাওয়ার পর এ বাধ্যবাধতা নেই।  

শেফা পেতে পবিত্র কুরআনের যে আয়াতগুলো পড়তে হয় : সুরা ফাতেহার সব আয়াত। সুরা বাকারার ১-৫, ১৬৪, ২৫৫-২৫৭, ২৮৫-২৮৬। সুরা আলে ইমরানের ১৮-১৯ নম্বর আয়াত। সুরা আরাফের ৫৪-৫৬ নম্বর আয়াত। সুরা মুমিনুনের ১১৫-১১৮ নম্বর আয়াত। সুরা সফফাতের ১-১০ নম্বর আয়াত। সুরা আহকাফের ২৯-৩২ নম্বর আয়াত। সুরা আর রাহমানের ৩৩-৩৬ নম্বর আয়াত। সুরা হাশরের ১২-২৪ নম্বর আয়াত। সুরা জিনের ১-৯ নম্বর আয়াত। সুরা হুমাজাহর ১-৭ নম্বর আয়াত। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস।
আরও কিছু আমল : ঘুমের আগের আমল- (ক) ওজু করে ঘুমানো, তাহলে ফেরেশতারা হিফাজতের জন্য দোয়া করতে থাকে। ডান কাত হয়ে ঘুমানো। এমনিতেও সর্বদা ওজু অবস্থায় থাকা সুন্নত। (মু’জামুল আওসাত; সনদ হাসান-জায়্যিদ)। (খ) শোয়ার পূর্বে কোনো কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। (মুসলিম)। (গ) আয়াতুল কুরসি পড়া। (বুখারি) সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া। (বুখারি)। (ঘ) সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে হাতের তালুতে ফু দেয়া, এরপর পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নেয়া। (বুখারি)।

ঙ) টয়লেটে ঢুকার পূর্বে দোয়া পড়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ  ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা, মিনাল খুবসি ওয়াল খবা-ইস।’ (সহিহ মুসলিম, ৩৭৫)।

চ) স্ত্রী সহবাসের পূর্বে দোয়া পড়া।  بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ‘বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বা-না, ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা-রযাকতানা। (বুখারি, ৪৮৭০)। চ) বিসমিল্লাহ বলে দরজা-জানালা লাগানো। খাওয়ার আগে বিসমিল্লাহ বলা।

যাদুটোনাকারীর শাস্তি :  
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, যাদুকরকে তওবার আহ্বান জানানো ছাড়া হত্যা করা হবে। যেমনটি করেছেন- উমর (রাঃ)। নবী সা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: “যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে তরবারির আঘাতে তার গর্দান ফেলে দেয়া।” যখন হাফসা (রাঃ) জানতে পারলেন যে, তাঁর এক বাঁদি যাদু করে তখন তাকে হত্যা করা হয়। নবীজি (স) বলেছেন:- যারা অন্যের ক্ষতির জন্য এমন কাজ করে, তারা ঈমান নিয়ে মরতে পারবেনা।

বিলাল হোসেন মাহিনী

bhmahini@gmail.com

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews