অভয়নগর (যশোর) অফিস।।
অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে নাইমা খাতুনকে (৭) ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক শফি কামালের মাছের ঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পিতা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে নাইমা খাতুন রোববার বিকালে বাড়ির পাশে খেলা করতে বের হওয়ার পর সন্ধ্যায় বাড়িতে না ফিরলে তাকে খঁুজতে শুরু করি। রাত সাড়ে দশটার সময় শফি কামালের মাছের ঘেরের কঁচুরিপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তাকে দেখতে পাই। থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই রাতেই মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে।
উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাইমা খাতুনের বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি তার বোনের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, আর কোন ভাইয়ের বুক এভাবে যেন খালি না হয়।
অভয়নগর থানা পুলিশ জানায়, স্কুল ছাত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে তার লাশ যশোর মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাছাড়া ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে যশোর পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কাজ শুর“ করেছে।
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, শিশু মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে, শিশুটির মৃত্যু কিভাবে হয়েছে? এবং তদন্তে বেরিয়ে আসবে এ হত্যার আসল রহস্য। শিশুটি নিহতের ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নেমেছে। আশা করছি, অতি শ্রীঘ্রই আসল ঘটনা জানা যাবে।