বুধবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এস ইশ্বরন উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১-২২ অর্থবছরে সিঙ্গাপুরে ১২ কোটি ৭১ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৪১১ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের পণ্য। সে অনুযায়ী বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তিটি সই হয়েছে। আজকের (বুধবার) আলোচনা ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ, যা দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যসহ সব ধরনের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।’
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এস ইশ্বরন বলেন, ‘বর্তমান সংকট কাটিয়ে সামনের দিনে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি ও বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং সিঙ্গাপুরের মাধ্যমে আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের সুযোগ যেন বাংলাদেশ নিতে পারে, সেজন্য এ চুক্তি করা হয়েছে।’
বাংলাদেশের পর্যটনখাত ও হাব হিসেবে নির্মাণাধীন শাহজালাল বিমানবন্দরকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এটি বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রফতানিকালে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পর হারাতে হবে। ফলে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। এতে ওইসব দেশে বাংলাদেশের রফতানি বাজার সংকোচনের শঙ্কা রয়েছে।সময় নিউজ