অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি।
অভয়নগরে পপুলার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সাময়িক সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সবুজ হালদারকে (২৯) এক মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে কিছু অবৈধ ওষুধ।
রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে সিলগালা ও কারাদন্ড দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত সবুজ হালদার যশোরের মণিরামপুর উপজেলার লেবুগাতী গ্রামের অসীম হালদারের ছেলে। তিনি পপুলার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
মোতাবেক রোববার দুপুরে পাঁচটি মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। যার মধ্যে মডার্ণ, এবি, লাইফকেয়ার ও ল্যাবওয়ে মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তেমন কোনো সমস্যা না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে পপুলার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে প্রতারণা ও বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়।
তিনি বলেন,পপুলার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন না করা, ডিজাইনে ডিপ্লোমা করা এক নারী রিসিপশনিস্ট দিয়ে ইসিজি করানো, মূল্য তালিকা ও ভাউচারে গরমিল, টেকনোলজিস্ট ও নার্স সংকট,
অবৈধ ওষুধসহ বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সিলগালা করা হয়েছে।’
অভিযানের ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান বলেন, ‘সেবাগ্রহিতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় পপুলার মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজারকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এনসি বিশ্বাস পলাতক রয়েছে্ন। জব্দ করা ওষুধ স্বাস্থ্বি ভাগের কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।’