স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর):।
যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেনকে আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক কারণে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে অভয়নগর থানার সভাকক্ষে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ) সার্কেল মো: জাহিদুল ইসলাম সোহাগ প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত জানান, যুবলীগনেতা মুরাদ হত্যাকান্ডের পর সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে একজন ভ্যানচালককে দেখতে পাওয়া যায়। তাকে এতোদিন পর খঁুজে পেলে মুরাদ হত্যাকান্ডের মূল রহস্য জানতে পারি। মুরাদ হত্যাকান্ডে ৫ জন দুর্বৃত্ত একত্রিত হয়ে মুরাদকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোড এলাকার মৃত মহাসিন কাজীর ছেলে মো: সাগর কাজী (৩০), ধোপাদি গ্রামের বাবু শেখের ছেলে মো: আল আমিন শেখ (২৫) এবং রানাভাটা সবুজবাগ এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মো: রনি বেপারীকে (৩২) আটক করেছে ।
পুলিশ আরো জানায়, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক কারণে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে যুবলীগনেতা মুরাদ হোসেনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, যুবলীগনেতা মুরাদ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা ১১জনের নাম আমাদের হাতে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। আশা করা যাচ্ছে, অতি দ্রুত এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের, হত্যাকান্ডে সহায়তাকারীদের এবং আর্থিক যোগদানদাতাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- অভয়নগর থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম।