1. bdtelegraph24@gmail.com : Bdtelegraph Bangla :
  2. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  3. islam.azizul93@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
আব্দুর রউফ খাঁন শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দেবহাটা উৎসবমুখর পরিবেশে সরস্বতী পূজা পালিত শফিকুল আলমের শাস্তি দাবি: মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সরব প্রতিবাদ গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু, হামাসের প্রস্তুতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় শ্যামনগরে আনন্দ মিছিল কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় আওয়ামীলীগ নেতা সাজু গ্রেফতার জেপিসি কমিটির বিরুদ্ধে মুসলিমসহ ভিন্নমত দমনের অভিযোগ মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা ও ইমামবাড়ীর দরজা খুলে দিলেন মুসলিমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়ে রণক্ষেত্র ফুসরা গ্রাম, আহত ৮ ফাঙ্গিও-মসের চালানো মার্সিডিজ স্ট্রিমলাইনার বিক্রি হলো ৬৫০ কোটি টাকায় দাবি না মানলে রেললাইন ছাড়ব না, শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি

আব্দুর রউফ খাঁন শুধু মুক্তিযোদ্ধাই নন সাহিত্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৯৫ জন খবরটি পড়েছেন

।। লক্ষ্মণ চন্দ্র মন্ডল।।
যশোর জেলার বাঘারপাড়ার পাঠানপাইকপাড়া গ্রামে মোঃ আব্দুর রউফ খাঁনের জন্ম। পিতা মৃত এরফান আলী খাঁন, মাতা তাহেরুন নেছা। ১৯৫৫ সালের ০৫ ডিসেম্বর তার জন্ম। ৭ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। মোঃ আব্দুর রউফ খাঁনের বয়স যখন ৭ বছর তখন তার মায়ের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর পরবর্তীতে তার বাবা ২য় বিবাহ করেন।
রউফ খান ছিল তার ১ম মায়ের সন্তান।

দশম শ্রেণীতে পড়াকালীন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি যোগ দেন। ছোট বেলা থেকেই সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকায় যাত্রা দলে জড়িয়ে পড়েন। বছর দেড়েক পর যাত্রা দল থেকে ফিরে ১৯৭৩ সালে এসএস সি পরীক্ষা দিয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ন হন। এরপর দুর সম্পর্কের এক আত্মীয় খুলনা সিটি কলেজে ভর্তি করানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলেও সেখান থেকে ফিরে এসে যশোর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। দীর্ঘ ৪ বছর পর বিএইচএমএস ডিগ্রী লাভ করে গ্রামে ফিরে দুঃখী মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন। ঐ সময় তিনি পুনরায় নাট্যাভিনয়ে মনোনিবেশ করেন।

এসময় পিতার ইচ্ছায় যশোর শহরের পুরাতন কসবার মোঃ আকবর আলী খানের বড় মেয়ে খালেদা বেগম খানের সঙ্গে তার দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে হয়। এরপর জীবনের বেকারত্ব দুর করার জন্য চাকুরীর আশায় ঢাকায় যান। অনেক কষ্টের পর নিজ গ্রামের মোঃ ওলিয়ারের সাথে পরামর্শ করে রাজমিস্ত্রির জোগালের কাজে বাড্ডা গ্রামে ২৫ টাকা হাজিরায় যোগ দেন । এই কাজের কিছু দিন পর ব্রিটিশ হাইকশিনারের বাসায় নাইট গার্ডের চাকরি পান।

এই চাকুরী কিছু দিন করার পর বৃটিশ হাইকমিশনার এর বাসার বয়ের চাকুরী । বছর খানেক পর ছুটিতে যশোর শহরে শশুর বাড়িতে আসলে শশুর বললেন তোমাকে আর ঢাকায় যেতে হবে না । তিনি একটা দরখাস্তে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তিনদিন পর বলেন তোমার চাকরী হয়ে গেছে। কাল অফিসে গিয়ে বড় সাহেবের নিকট থেকে নিয়োগ পত্র নিয়ে ঝিনাইদহ গনপূর্ত অফিসে যোগদান করবা। চাকুরী পাওয়ার একমাত্র কারন ছিল তার শশুরের সাথে বড় সাহেবের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। সেই থেকে যশোর গনপূর্ত বিভাগে চাকরী করা আর লেখালেখির মাধ্যমে সাহিত্য সাধনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালিয়েছেন।

সামাজিক কর্মকান্ডেও মানুষের পাশে থেকে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কৃষক সংগঠন গাইদঘাট কৃষি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটিতে দির্ঘদিন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে থেকে কৃষকদের আর্থ- সামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করেছেন। সবকিছুর ভিতর দিয়েও লেখালেখি,সাহিত্য-সাধনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। নিজ উদ্যোগে তিনটি বই প্রকাশ করেছেন। বইগুলো হচ্ছে-ভেজা তুষের অনল,শেষ ঠিকানা এবং আমার চোখে। এছাড়া ৮ খানা অপ্রকাশিত পান্ডুলিপি প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-আমি ও আমার মুক্তিযুদ্ধ, স্রোতে ভাষা জীবন (নাটক), অপুর্ন বাসনা (নাটক), প্রেমা হত (নাটক), চক্রান্ত(নাটক) , মতি পাগলা এখন স্বাধীন (নাটিকা), বিল্ল মঙ্গল চিন্তামনি (গীতি নাট্য), ও সুর ধ্বনি ( ৪৮০টি গানের সমন্বয়)। দেশ স্বাধীনের আগে লেখকের লেখা অনেক নাটকের পান্ডুলিপি যেমন- মেঘে ঢাকা তারা, চরিত্রহীন, হৃদয়ের কান্নাসহ আরো অনেক নাটকের পান্ডুলিপি নষ্ট হয়ে গেছে। দাম্পত্য জীবনে আব্দুর রউফ খাঁন ২ সন্তানের জনক। ছেলে খায়রুল হাসান খাঁন হীরা ও মেয়ে রুকসানা পারভীন মিরা।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews