মোঃ মাসুম বিল্লাহ
হে বাংলাদেশ তুমি নাকি স্বাধীন
তবে কেন এতো রক্ত মিছিল?
২৬৬ নিছক একটা সংখ্যা নয়
২৬৬ তোমাদের জন্য অভিশাপ।
সেদিন তনু ডেকে বলেছিল,
আমাকে ধর্ষণ করলো সব থেকে নিরাপদ
ক্যান্টনমেন্টে।
আমার নিথর দেহ ফেলে দিল
আমাকে তোমরা বাঁচালে না,
আমার হত্যাকারী তোমরা।
হে যুবক আমি এমসি কলেজের ধর্ষিত বোন।
আমার স্বামীকে বেঁধে রাখল
আমার উপর চালালো পাশবিক নির্যাতন,
তবু তোমরা চুপছিলে,
সেদিন বুঝে গেছি তোমরা নপুংসক।
হে ভাই, আমি মুনিয়া,
টাকার গরমে আমার হত্যাকারী বাইরে আমি কেন
পরপারে?
আমি হতাশ হয়ে চেয়েছিলাম তোমাদের পানে,
তোমরা আমাকে ন্যায় বিচার দেবে।
কিন্তু সেদিনও তোমরা চুপ ছিলে।
আমি তোমাদের ভাই বিশ্বজিৎ,
কী দোষ ছিল আমার?
আমাকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো রাস্তায় ফেলে
তোমরা চেয়ে চেয়ে দেখলে আর ক্যামেরা বন্দী করলে,
আমাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসনি।
হে বন্ধু, আমি আবু বকর
আমাকেও গুলি করলে, মারলো নিষ্ঠুরের মতো
কী দোষ ছিল?
তোমরা সেদিনও নিরব ছিলে
তাই তোমাদের ডাকছি আমার কাছে।
হে কাপুরুষ জাতি,
আমি সাগর রুনি।
তোমাদের সত্যের সন্ধান দিতে গিয়ে দেখলাম তোমরা
প্রত্যেকে পাপী।
আর ওমনি আমাদের হত্যা করলে।
আমাদের অবুঝ শিশু কেঁদেছিল আমাদের লাশের পাশে।
তোমরা নিরব ছিলে।
হে চাচ্চু, আমি রাব্বি।
আমাকে গুলি করলো আর তোমরা মুখ বুঁজেছিলে।
আমার আর্তনাদ তোমরা শোননি।
তোমাদের সেই বুকে আজ গুলি
মুখে গুলি, মগজে গুলি, হৃদপিণ্ডে গুলি
কী দোষ ছিল মুগ্ধের?
আবু সাঈদের মতো তোমরাও যদি বুক পেতে দিতে,আজ আবু সাঈদ লাশ,
তোমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে
জালিমের গুলির সামনে হাসি মুখে মৃত্যুকে বরণ করে
তোমাদের ঋণী করে গেল।
তোমরা কী পারবে তার রক্ত ঋণ শোধ করতে?
তোমরা কি পারবে শেখ মুজিবের মতো স্বাধীনতার গান
শোনাতে?
তোমরা কি পারবে স্বাধীন দেশটাতে স্বাধীনতার স্বাদ
দিতে?
যদি না পার তবে মনে রেখ,
২৬৬ নয় আরো লাশ গুণতে হবে
তোমাদের কাঁধে ব্যাথা হবে লাশের সৎকার করতে
করতে।
তোমাদে কণ্ঠনালী রোধ করা হবে।
এখনি সময় বুক পেতে দাও বন্ধু
নতুন পৃথিবী গড়তে।
(০১ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিঃ)
মোঃ মাসুম বিল্লাহ, প্রভাষক (বাংলা)