স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে, যা আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় এই শৈত্যপ্রবাহ বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে, যেখানে পারদ নেমে এসেছে মাত্র ৯.১°C-এ। অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮.৭°C। উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে তীব্র শীতের কারণে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষত নিম্নআয়ের মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী দিনগুলোতে রাতের তাপমাত্রা আরও (১-২)°C কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও তা শীতের প্রভাব কমাতে তেমন ভূমিকা রাখবে না।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, যা যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত উত্তরাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাগুলোয় এই কুয়াশার প্রভাব আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী কয়েক দিন আবহাওয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকবে। তবে, স্থানীয় জনগণের শীত মোকাবিলায় বিশেষ প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের এই শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থেকে বাঁচতে গরম কাপড় বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবুও, এই অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী শীতের হাত থেকে বাঁচতে জরুরি সহায়তা দাবি করছেন।
এদিকে, ঢাকায় তাপমাত্রা তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে শীতের প্রভাব আরও স্পষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে রাতের সময় বায়ুপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রার দ্রুত পতন ঘটতে পারে।
অতীতে এ ধরনের শৈত্যপ্রবাহের সময় উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাই, বিশেষজ্ঞরা শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।