গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। হামাসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা শুরু করতে তারা প্রস্তুত।
গত সপ্তাহে কায়রোতে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনার সময় হামাস তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিল। তবে, তারা আশা করছে মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলকে চুক্তির শর্ত মেনে চলার বিষয়ে নিশ্চিত করবে। আলোচনার সময়সূচি এখন মধ্যস্থতাকারীদের ওপর নির্ভর করছে বলে জানানো হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়েছে, তার প্রথম ধাপে ৪২ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ রয়েছে। এই ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় এখনও বন্দী থাকা বাকি ৭০ জন জিম্মির মুক্তি এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সাথে দ্বিতীয় ধাপের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “চুক্তির শর্ত অনুসারে অবিলম্বে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করা উচিত।” তিনি তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। গাজায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের আশা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার প্রস্তুতি চলছে। মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো।