প্রতিনিধি, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)। শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাওয়া দিন মজুর পিতার একমাত্র সন্তান জয় কর্মকারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন। মেডিকেলে চান্স পাওয়া জয় কর্মকার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের অশোক কর্মকারের ছেলে। ৫ই ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুর ৩ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন জয় কর্মকারের বাড়িতে যেয়ে এ সহায়তা প্রদান করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আর্থিক সহায়তা হিসেবে জয় কর্মকারের মায়ের হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনী খাতুন বলেন, জয় কর্মকারের সফলতা ও মেধা শক্তিকে আমাকে এখানে আসতে বাধ্য করেছে। জয় কর্মকার এই অঞ্চলের মানুষের জন্য গর্ব সে আরো ভালো কিছু করবে এ দোয়া করি।
ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাওয়া জয় কর্মকারের বাবা অশোক কর্মকার বলেন, আমি অন্যের দোকানে কাজ করে জয়কে লেখাপড়া শিখিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় আমি গর্বিত। তবে দুঃখের বিষয় আমি তার ভর্তি করানোর জন্য আর্থিক বিড়ম্নাবনায় আছি। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জয়ের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।
জয়ের মাধ্যমিক শিক্ষক মোঃ আব্দুল করিম বলেন, জয় কর্মকার ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছিল। সে অত্যন্ত নম্র ভদ্র সব সময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। ঢাকা মেডিকেলে বাংলাদেশের মধ্যে ১৪৮ তম স্থান অধিকার করায় আমরা গর্ববোধ করি জয়কে নিয়ে।
উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম পল্টু, হরিনগর বনশ্রী শিক্ষানিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল করিম, ইউপি সদস্য রেহানা খাতুন, সুন্দরবন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু তালেব সহ আরো অনেকে।