ডেস্ক নিউজ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দেশকে ভারতের চেয়ে বৃহত্তর জাতি হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ডেরা গাজি খান সফরে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “আমরা একদিন না একদিন ভারতকে পেছনে ফেলব। আর তা করতে না পারলে আমার নাম শেহবাজ শরীফ নয়।”
ডেরা গাজি খান সফরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। তিনি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় শাসন ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শেহবাজ শরীফ জানিয়েছেন, তার সরকার বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা আর ঋণের ওপর নির্ভর করব না। আমার নেতৃত্বে, পাকিস্তান স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলবে।”
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতির হার ৪০% থেকে কমে মাত্র ২% হয়েছে। যদিও অর্থনীতিবিদরা এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ভারতের সাথে কূটনৈতিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানানোর কয়েক সপ্তাহ পরেই শরীফ এই মন্তব্য করেন। কাশ্মীর সংহতি দিবসে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের আইনসভার একটি অধিবেশনে তিনি ভারতকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “কাশ্মীরের স্বার্থে পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ভারতকে ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আলোচনায় বসার আহ্বান জানাই।”
শেহবাজ শরীফের বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক ব্যবহারকারী তার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, পাকিস্তানকে ভারত ছাড়িয়ে যাওয়ার চিন্তার আগে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবিলা করা উচিত।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “নিজের দেশের মৌলিক সমস্যাগুলো ঠিক করুন। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করে, আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছেন।”
অন্য একজন মন্তব্য করেন, “শেহবাজ শরীফ ভারতকে হারাতে চান, কিন্তু পাকিস্তানে ঠিকমতো ওয়াইফাই-ও কাজ করে না। আগে নিজের দেশের সমস্যাগুলো সমাধান করুন, তারপর ভারতকে নিয়ে ভাবুন।”