তারিম আহমেদ ইমন, অভয়নগর (যশোর) থেকে।
অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে শিশুসহ কমপক্ষে ২১৩জন নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হওয়া রোগীরা অভয়নগর উপজেলার আশ-পাশ এলাকার বাসিন্দা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ফুচকা দোকানের মালিক মনিরুজ্জামান দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অসুস্থ এসব রোগীদের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালসূত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে আসা ফুচকা খেয়ে আক্রান্ত ২১৩জন রোগীকে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ১৪জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৫৩জনকে সেবাদানপূর্বক ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এক পরিবারের তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়া পরিবারের সদস্য কাপাশহাটি গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা তাকিব হুসাইন জানান- ভৈরব সেতুর পূর্বপাড়ে দেয়াপাড়া এলাকায় ঈদের দিন বসেছিল ঈদ মেলা। সেই মেলায় গিয়ে ইন্ডিয়ান পানিপুরি ও ভোজপুরি নামক ফুচকার দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে তার পরিবারের ৩জন, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের ইমাম সাহেবের পরিবারের ৮জন, প্রেমবাগ গ্রামের এক পরিবারের ৫জন, যথাক্রমে আসাদুল ইসলাম, তার স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন, ছেলে সোহাগ ও সিয়াম, মেয়ে বৃষ্টিসহ কমপক্ষে ১০০জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখবর ছড়ি পড়লে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৩ জনে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজিব জানান- ঈদের দিন মেলা থেকে ফুচকা খেয়ে ফুড পয়জনিং (ডাইরিয়ায় আক্রান্ত) হয়ে ২১৩জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি, তবে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছে।
তিনি আরো জানান, বেশিরভাগ রোগীর পেটে ব্যথা, জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমির কারণেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইনসহ ওষুধপত্র দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানপূর্বক ৫৩জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।