সর্বাত্মক ইসরাইলি অবরোধে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় চরমে পৌঁছেছে খাদ্যসংকট। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিভিন্ন খাদ্যগুদাম ও কমিউনিটি কিচেনে হামলা চালিয়ে লুটপাট করছে বিভিন্ন সশস্ত্র অপরাধী গোষ্ঠী। এরূপ বেশ কয়েকজন অপরাধীকে ধরে খাদ্য লুটপাটের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যোদ্ধারা। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব অপরাধী ইসরাইলের সঙ্গে যোগসাজশ করে গাজাজুড়ে খাদ্যগুদাম ও কমিউনিটি কিচেনে লুটপাট করছে। লুটপাটের এক ঘটনায় সশস্ত্র অপরাধীদের হামলায় ফিলিস্তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গাজা দপ্তর থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘এসব অপরাধীকে শক্ত হাতে দমন করা হবে এবং যে কোনো মূল্যে তাদের নিরস্ত্র করা হবে। জনগণকে আতঙ্কিত করা, তাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলা এবং তাদের সম্পদ লুটের কোনো অনুমতি আমরা দেব না।’
গাজার মিডিয়া দপ্তরের পরিচালক ইসমাইল আল-সাওয়াবতা জানান, এসব অপরাধী ইসরাইলের সরাসরি সহায়তায় গাজাজুড়ে লুটপাট করছে। লুটপাটে জড়িতদের প্রমাণের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা সাফা জানিয়েছে, লুটপাটকারীদের মোকাবিলায় এরই মধ্যে পাঁচ হাজার সদস্যের নতুন এক বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে গাজাকে সম্পূর্ণ দখলের জন্য নতুন করে হামলা জোরদারের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজা সম্পূর্ণভাবে দখল না করা পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
অপরদিকে ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, পরিকল্পনার মধ্যে গাজা দখল ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, গাজার জনগণকে তাদের নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণে স্থানান্তরিত করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এছাড়া আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছা অভিবাসনের জন্য উৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে খবরে জানানো হয়।
এরই মধ্যে গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলি আগ্রাসন। গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বিবৃতিতে বলা হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ২৩ জন নিহত এবং আরো ১১৯ জন আহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৯ মাসের আগ্রাসনে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৬৭ এবং আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৮ হাজার ৬১০ জন। আমার দেশ