1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
অফিস কক্ষে র‍্যাব কর্মকর্তার মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি কিছু অন্য? - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গৌরীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র বিরুদ্ধে বাঘারপাড়ায় সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির পায়তারা অনলাইন পত্রিকা পাঠক তালিকা: শীর্ষে প্রথম আলো, ঢাকা পোস্ট দ্বিতীয় স্থানে শাপলা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, হাইকোর্টের রুল জারি চৌগাছায় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ‘নির্বাচন বিলম্বিত করার অপচেষ্টা’, সন্দেহ মির্জা ফখরুলের এসএসসিতে অকৃতকার্যদের বিক্ষোভ: সাপ্লিমেন্টারি ও কলেজে ভর্তির দাবি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ, বেতন পঁয়ত্রিশ হাজার দৌলতপুর সীমান্তে পিস্তল, গুলি ও মাদকসহ ইউপি সদস্য আটক মনিরামপুরে ট্রাক দুর্ঘটনায় চালক ও হেলপার নিহত

অফিস কক্ষে র‍্যাব কর্মকর্তার মৃত্যু: আত্মহত্যা নাকি কিছু অন্য?

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ৩৪ জন খবরটি পড়েছেন
ছবি-সংগৃহীত

প্রতিনিধি চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রামের র‍্যাব-৭ কার্যালয়ের নিজের অফিস কক্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পলাশ সাহা নামের এক র‍্যাব কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এএসপি পলাশ সাহাকে তাঁর কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশে পাওয়া যায় একটি সরকারি পিস্তল ও একটি চিরকুট।

পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহ থেকে এই কর্মকর্তা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে মৃতদেহের পাশে থাকা চিরকুটটি তাঁর নিজের হাতের লেখা কি না, তা নিশ্চিত করতে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে।

চিরকুটে লেখা ছিল, “আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তাঁরা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।”

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় পলাশ সাহা একটি অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি অস্ত্র ইস্যু করে কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পর গুলির শব্দ শোনা যায়। সহকর্মীরা গিয়ে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পান। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চমেক হাসপাতালে পলাশ সাহার মরদেহ দেখে তাঁর স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশের তথ্যে, নিহতের স্ত্রী বর্তমানে র‍্যাব-৭–এর হেফাজতে রয়েছেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “নিহতের আত্মীয়স্বজন এখনো চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাননি। তাঁরা অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চান্দগাঁও থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিন বলেছেন, “পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা হতে পারে।”

নিহত পলাশ সাহা ঢাকার ওয়ারীর বিনয় সাহার ছেলে এবং তিনি ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি র‍্যাব-৭–এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বহদ্দারহাট ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews