ডেস্ক নিউজ।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের ওই বৈঠকে সেনাবাহিনীকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
৭ মে ভোরে ভারতের চালানো এই হামলায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে বেসামরিক ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে পাকিস্তানে ২৬ জন নিহত হন। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানও ভারতীয় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যাতে ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৈঠকে পাকিস্তান এই হামলাকে “বিনা উস্কানির যুদ্ধ পদক্ষেপ” এবং “সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির ভাষ্যমতে, ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থী।
এনএসসি জানিয়েছে, পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের অধীনে প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে। একইসঙ্গে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষার সময় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয়েছে।
এছাড়া, ভারতের কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে, পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। তবে জনগণের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় কোনো আপস না করার সংকল্পও প্রকাশ করেছে দেশটি।