ডেস্ক নিউজ।
ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণে পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১-এ পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এই অভিযান শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ভারতের দাবি, তারা সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তায়েবা (এলইটি) ও জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে পাঞ্জাবের ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে শহরে নয়টি স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ছয়টি স্থানে আঘাত হানে—পাঞ্জাবের শিয়ালকোট, ভাওয়ালপুর ও মুরিদকে এবং আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ, বাগ ও কোটলিতে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রাফাল, একটি করে সু-৩০ এবং মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, সেনাবাহিনী এই হামলার যথাযথ জবাব দিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের এসব দাবির বিষয়ে এখনো ভারত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। বরং, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায় যে, হামলার রাতেই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানি সেনারা গোলাবর্ষণ করে, যাতে ১৩ ভারতীয় নাগরিক নিহত হন।
এই সাম্প্রতিক উত্তেজনার সূচনা ২২ এপ্রিল ঘটে, যখন ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। সেই ঘটনার রেশ ধরেই পরিস্থিতি এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে।