বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা । যশোরের বাঘারপাড়ায় বিএনপি নেতা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাবেক
ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন বিশ্বাস ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহী রাজিউন)।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী,তিন পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্যা গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মহিউদ্দীন বিশ্বাস উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাজহারুল ইসলাম খোকনের পিতা।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এএফএম আসলাম হোসেন জানান, মহিউদ্দীন বিশ্বাস দীর্ঘদিন ব্রেইন টিউমার ছাড়াও বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত জটিল রোগে ভূগছিলেন। তিনি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে টিউমার বিষয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। সেখানে রোববার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এ নেতা। সোমবার বাদ আসর ভিটাবল্লা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থান তেঘরি গ্রামে দাফন করা হয়।
মরহুমের নামাজে জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর জেলা জামায়েতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শামসুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এএফএম আসলাম হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দর রহমান মিন্টুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।
বাঘারপাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সহসভাপতি থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন।বহুবার কারাবরণও করতে হয় তাকে। ১৯৭৭ সালে তিনি উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরি করে অবসরোত্তর জীবন কাটাচ্ছিলেন। আরও জানা গেছে, নিজের জমি দান করে ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মহিউদ্দীন বিশ্বাস। জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদও মহিউদ্দীন বিশ্বাসের দান করা জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়।