1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
  5. wasifur716@gmail.com : Wasifur Rahaman : Wasifur Rahaman
ইতিহাসের মহাবিপর্যয়ের দিনে ফিলিস্তিন আবার রক্তাক্ত - বিডিটেলিগ্রাফ | Bangla News Portal, Latest Bangla News, Breaking, Stories and Videos
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্কলারশিপের ফাঁদে ডিআইইউ শিক্ষার্থীরা! প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা আসছে ধরালীতে প্রাকৃতিক তাণ্ডব: ৩৬০ মিলিয়ন ঘনমিটার ধ্বংসাবশেষে গ্রাম নিশ্চিহ্ন উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাত: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কুড়িগ্রাম উলিপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তা সেজে  প্রতারণা, জনতার হাতে যুবক আটক এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিতে তথ্য চাইল মাউশি কুড়িগ্রামে কোমল পানির সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হলো কোরিয়ান অভিনেতা সং ইয়ং-কিউয়ের মরদেহ জুলাই আন্দোলন সবার – লন্ডনে দোয়া মাহফিলে তারেক রহমান শাহজালাল বিমানবন্দরে দোহা ফ্লাইট থেকে ৮ কেজি স্বর্ণ জব্দ

ইতিহাসের মহাবিপর্যয়ের দিনে ফিলিস্তিন আবার রক্তাক্ত

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ৩৫ জন খবরটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার | ১৫ মে ২০২৫

আজ ১৫ মে। ইতিহাসে গভীরভাবে খচিত একটি দিন—ফিলিস্তিনিদের কাছে যা ‘নাকবা’ বা ‘মহাবিপর্যয়’ নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালের এই দিনে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়। পেরিয়ে গেছে সাত যুগেরও বেশি সময়। কিন্তু এখনও সেই ব্যথা, উদ্বাস্তু জীবনের ক্ষত, এবং ফিরে যাওয়ার অদম্য আকাঙ্ক্ষা একইভাবে বয়ে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।

এ বছরের নাকবা দিবসটি যেন অতীতের ক্ষতকে নতুন করে রক্তাক্ত করে তুলেছে। ঠিক ৭৭তম বার্ষিকীতেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ১০৩ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি—যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজায় ‘আরেকটি রক্তাক্ত দিন’

আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ মে রাত থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এখানেই নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯ জন। হামলার সময় সরাসরি লক্ষ্য করে ধ্বংস করা হয় নয়টি আবাসিক ভবন। সাংবাদিক তারেক আবু আজ্জুমের ভাষায়, “এটি গাজার জন্য আরেকটি রক্তাক্ত দিন। পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।”

গাজা সিটি ও জাবালিয়াতেও চালানো হয়েছে একাধিক বিমান হামলা। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া আহতদের বড় অংশই শিশু এবং বৃদ্ধ।


নাকবার ইতিহাস: কী ঘটেছিল ১৯৪৮ সালে?

নাকবা দিবস (আরবি: يوم النكبة, ইওম আন-নাকবা) ফিলিস্তিনিদের জীবনে শুধু একটি দিন নয়—এটি তাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও স্বপ্নের জন্য এক অনিবার্য ইতিহাস। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইহুদি জায়নিস্ট মিলিশিয়াদের হাতে প্রায় ৫৩০টি ফিলিস্তিনি গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে উদ্বাস্তু হয় ৭,৫০,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি। তাদের অধিকাংশ আজও বিভিন্ন দেশে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

নাকবার সময় ঘটে যায় এক জাতিগত রূপান্তর। ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। আজকের প্রজন্মের বহু ফিলিস্তিনি সেই বাস্তুচ্যুত পূর্বপুরুষদের উত্তরসূরি—যাদের একটাই দাবি: “Right of Return”, অর্থাৎ তাদের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার।


৭৭ বছরের আর্তনাদ ও প্রতিরোধ

নাকবার ৭৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষত শুকায়নি। বরং ইসরায়েলি দখলদারিত্ব, অবরোধ, সেনা অভিযান, বসতি নির্মাণ এবং বারবারের সহিংসতার মধ্যে দিয়ে সেই যন্ত্রণাই যেন নতুন প্রজন্মের জন্যও বাস্তব হয়ে উঠেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনি-ইসরায়েল সংঘাতের মূল গেঁড়েই আছে নাকবার ইতিহাস। এ বাস্তুচ্যুতি ও জমির দাবি সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি সম্ভব নয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও “উদ্বাস্তুদের ফেরার অধিকার” নিয়ে একাধিক প্রস্তাব পাশ করলেও বাস্তবায়নের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।


বিশ্বের প্রতিক্রিয়া: সহানুভূতি আছে, সমাধান নেই

প্রতিবছরই নাকবা দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সংহতি জানানো হয়। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে মুখর হন অধিকারকর্মীরা। তবুও আন্তর্জাতিক কূটনীতির জটিলতা, শক্তির ভারসাম্য এবং ভূরাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে ফিলিস্তিনের মানুষের ভাগ্যে বারবারই নেমে আসে বঞ্চনার ধোঁয়াশা।


শেষকথা: ইতিহাস কি আবার নিজেকে繰াবে?

নাকবা শুধুই অতীতের একটি ঘটনা নয়—এটি চলমান এক মানবিক সংকটের প্রতীক। ৭৭ বছর আগে যারা উচ্ছেদ হয়েছিলেন, তারা এখন পিতামহ বা প্রপিতামহ। কিন্তু তাদের নাতি-নাতনিদের জীবনেও সেই একই দুর্দশা, একই রকম রক্ত, ধ্বংস, এবং ‘নেই’ বলার যন্ত্রণা।

আজকের হামলা যেন আবার স্মরণ করিয়ে দিল—নাকবার ইতিহাস এখনও জীবন্ত, এখনও নির্মম।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2025
Theme Customized By BreakingNews