1. bdtelegraph24@gmail.com : বিডিটেলিগ্রাফ ডেস্ক :
  2. suma59630@gmail.com : ফাতেমা আকতার তোয়া : ফাতেমা আকতার তোয়া
  3. mirzagonj@bdtelegraph24.com : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি
  4. tarim7866@gmail.com : তারিম আহমেদ : তারিম আহমেদ
বৈরী আবহাওয়ায় পাকা ধানের ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক - টেলিগ্রাফ বাংলাদেশ
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডাম্বুলায় দাপুটে জয়, সিরিজে সমতায় বাংলাদেশ দুই লাল কার্ড, পাঁচ গোল আর শেষ মুহূর্তের নাটক- নেপালকে হারালো বাংলাদেশ গাজায় পানির জন্য দাঁড়ানো লাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৬ শিশু ১.২ পেটাবিট/সেকেন্ড গতিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল জাপান: ইন্টারনেট এখন কল্পনার চেয়েও দ্রুত! চাঞ্চল্যকর সোহাগ হত্যা মামলার দুই আসামী দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার কারামুক্তি ২৯ জনের: সাজা রেয়াত পেয়ে ঘরে ফিরলেন ২৯ বন্দি! উপকূলীয় মানুষের জীবনে স্বস্তির পরশ দিয়েছে “ব্লু-ইকোনমি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস প্রকল্প’’ শ্যামনগরে ৭৬ পিচ ইয়াবা সহ আটক ১ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-প্রপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল  সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অভয়ারণ্য মাছ ধরার সময় জেলের মৃত্যু

বৈরী আবহাওয়ায় পাকা ধানের ক্ষতির শঙ্কায় কৃষক

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ২৯ জন খবরটি পড়েছেন

রাকিবুল হাসান, কুড়িগ্রাম।।

টানা খরার পর শুরু হয়েছে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি। গত ১২ মে থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নাগেশ্বরীতে শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কৃষক। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে পাকা ধান। ঝড়বৃষ্টি শুরুর আগেই কিছু কৃষক ফসল কেটে বাড়ি আনলেও সেগুলো মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন না। পানিতে ভেজা থাকছে মাটি।

কৃষক বলছেন, ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকাতে দিলেই তা আরও ভিজে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে বারবার তুলে রাখতে হয়। ক্ষেতের অধিকাংশ ধান পুরোপুরি পেকে গেছে। কাটতে না পারায় ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ঝরে যাচ্ছে ফসল। আবার কেটে বাড়ি আনলেও মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকাতে না পারায় ধান থেকে চারা গজিয়ে যাচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম, মোজাফ্‌ফর হোসেন, শমসের আলী, মাহবুবুর রহমান, সেকেন্দার আলী, আনিছুর রহমানসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কৃষক একই ধরনের কথা বলেছেন। তাদের ভাষ্য, এবার অন্যবারের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদে লাভের আশা করছেন তারা। বাজারে আশানুরূপ দাম পেলে ঋণ পরিশোধ করে পরিবার নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ আশা পূরণ নিয়ে সংশয়ে আছেন জানিয়ে কৃষক বলছেন, যে অবস্থা, তাতে নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বেগে আছেন। কমে গেছে দাম। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে সাড়ে ৮৫০ টাকায়। এর চেয়ে খরচ বেশি হয়েছে। ফের ঋণে আটকে পড়তে হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবারে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টরে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন ভালো হয়েছে।

এলাকায় চলমান মৌসুমি বৃষ্টি আগামী ২০ মে পর্যন্ত চলবে জানিয়ে রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকারের ভাষ্য, একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কয়েকদিন বৃষ্টি থাকবে।

জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, সাধারণ বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা। ৮০ শতাংশ পেকে গেলেই ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষককে।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2024
Theme Customized By BreakingNews