বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ ২৩ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-তে রূপ নিতে পারে বলে প্রাথমিক পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড়টি যদি স্থলভাগে আঘাত হানে, তবে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের পাশাপাশি বাংলাদেশের খুলনা ও চট্টগ্রামেও এর প্রভাব পড়তে পারে।
তবে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তন (মৌসম ভবন) এখনই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলেনি। সংস্থাটি জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে, তবে সেটি ঘূর্ণিঝড় হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর মধ্যেই দুই দেশেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উপকূলবর্তী নিচু এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১৩ মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর, আন্দামান অঞ্চল এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছেছে। গত সাত বছরের তুলনায় এটি কিছুটা আগেভাগেই এসেছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টি ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২২ মে পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানসহ একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে এবং তাপমাত্রা দু-তিন ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ যদি সত্যিই সৃষ্টি হয় এবং উপকূলে আছড়ে পড়ে, তবে উপকূলবর্তী নিচু এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনে আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।