বেনাপোল প্রতিনিধি।
ভারত সরকারের হঠাৎ জারিকৃত এক নিষেধাজ্ঞার ফলে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী শতাধিক ট্রাক আটকে পড়েছে। রফতানিকারকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত রফতানি বাণিজ্যে বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে।
শনিবার (১৭ মে) ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি হওয়া একটি চিঠিতে স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস, তুলা, প্লাস্টিক, কাঠ ও ফলজাতীয় পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও সমুদ্রপথে কলকাতা ও নবসেবা বন্দরের মাধ্যমে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে, তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই পথ ব্যয়বহুল এবং পরিবহন জটিল।
বাংলাদেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১৬টি দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য হয়ে থাকে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে—প্রায় ৮০ শতাংশ। প্রতিদিন গড়ে ২৫০–৩০০ ট্রাক বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়, যার একটি বড় অংশ গার্মেন্টস শিল্পজাত পণ্য।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন যে এর আগে গত ৮ এপ্রিল ভারত স্থলপথে তৃতীয় দেশে গার্মেন্টস রফতানিতে আকাশপথ ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পরপর এমন নিষেধাজ্ঞায় রফতানি খাতে ধস নামার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, “এত বড় একটি সিদ্ধান্ত যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই নেওয়া হয়েছে। এতে দুই দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
একইসাথে, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, “হঠাৎ হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও সৌহার্দ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি করছে।”
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার সুপারিনটেনডেন্ট আশরাফ আলী জানান, “নিষেধাজ্ঞার পর সকাল থেকে কোনো গার্মেন্টস পণ্য ভারতে প্রবেশ করেনি। তবে বেশ কিছু ট্রাক বন্দরে দাঁড়িয়ে আছে।”
অবস্থার দ্রুত সমাধান ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।