নওয়াপাড়া পৌর (যশোর) প্রতিনিধি।
অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি এসএম তরিকুল ইসলাম (৫০) খুনের ঘটনায় তিন যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীররাতে তাদের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রাম থেকে তাদের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভয়নগর থানার ওসি মো. আব্দুল আলীম।
এরআগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে কৃষকদল সভাপতি তরিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনগন এবং বিএনপির নেতা কর্মীরা ওই রাতেই নওয়াপাড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
জানা যায়, মৎস্যঘের চুক্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পর রাতে ঘটনাস্থলের আশ-পাশের এলাকার প্রায় ১৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদি গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে।
নিহতের বড়ভাই জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিকুজ্জামান টুলু বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। মাথায় গুলি করার পর কুপিয়ে তার একটি হাত বিচ্ছিন্নও করা হয়েছে। তারপর তার মাথায় ইট দিয়েও আঘাত করে থেতলে করে দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রধারী ৬জন মিলে নির্মম ও নৃশংসভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি আগামী ২৪ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ওসি মো. আব্দুল আলিম বলেন, সন্দেহভাজন তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় জানানো সম্ভব হচ্ছেনা। পরিস্থিতি ধীরেধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।