ঢাকা, ২৪ মে, ডেস্ক নিউজ। এক দিনের ব্যবধানে দেশের দুই প্রান্তে পুকুরে ডুবে ছয়টি শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সাড়ে তিন বছর বয়সী দুই যমজ শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরেও পুকুরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে আরও দুই শিশু। দুটি ঘটনাই শনিবার (২৪ মে) দুপুরে সংঘটিত হয়েছে।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যমজ শিশুর সলিল সমাধি:
লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের হরিদাঘোনা এলাকায় পুকুরে ডুবে মারা গেছে মোহাম্মদ আদিল ও মোহাম্মদ আবিদ নামে সাড়ে তিন বছর বয়সী দুই যমজ শিশু। স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ নিশ্চিত করেছেন যে, শনিবার দুপুর আড়াইটায় এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগে শিশু দুটি বাড়ির সামনে খেলা করছিল। সবার অলক্ষ্যে তারা বাড়ির কাছের পুকুরে পড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ তাদের দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং একপর্যায়ে পুকুরের পানিতে তাদের ভাসতে দেখেন। দ্রুত উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মাগরিবের নামাজের পর তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মামাত-ফুফাত বোনের মৃত্যু:
একই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামে পুকুরে ডুবে মারা গেছে তিন বছর বয়সী তাছকিয়া বেগম ও তারা নূর। সম্পর্কে তারা মামাত-ফুফাত বোন ছিল। তাছকিয়া কুন্ডা গ্রামের মাফিকুল মিয়ার মেয়ে এবং তারা নূর ধানতলিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে শিশু দুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। অসতর্কতাবশত তারা বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
একই দিনে একাধিক পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা দেশজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং শিশুদের সুরক্ষায় অভিভাবকদের আরও বেশি সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।