আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সালাত হলো জুমার দিনের ফজরের নামাজ জামাআতে আদায় করা।
বর্ণনাকারীঃ আব্দুল্লাহ বিন ওমর
জুমআর রাতে ফজরের নামায জামাআত সহকারে পড়ার পৃথক বৈশিষ্ট্য আছে। মহানবী (ﷺ) বলেন, “আল্লাহর নিকটে সব চাইতে শ্রেষ্ঠ নামায হল, জুমআর দিন জামাআত সহকারে ফজরের নামায।” (সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ১৫৬৬নং)পৃষ্ঠা বা সংখ্যা: 1566 | হাদিসের হুকুমের সারসংক্ষেপ: সহিহ
আবু নাইম (হিলিয়াত আল-আউলিয়া) (7/207) এবং আল-বায়হাকী ((শুআব আল-ইমান)) (3045) থেকে বর্ণিত
فضلُ الصلواتِ عند اللهِ صلاةُ الصبحِ يومَ الجمعةِ في جماعةٍ
الراوي : عبدالله بن عمر | المحدث : الألباني | المصدر : السلسلة الصحيحة
الصفحة أو الرقم : 1566 | خلاصة حكم المحدث : صحيح
التخريج : أخرجه أبو نعيم في ((حلية الأولياء)) (7/207)، والبيهقي في ((شعب الإيمان)) (3045)
জুমার দিন ফজরের নামাজ জামাআতে পড়ার ফজিলত নিয়ে সহীহ হাদীস নিম্নরূপ:
হাদীস:
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: “أفضلُ الصلواتِ عند اللهِ صلاةُ الصبحِ يومَ الجمعةِ في جماعةٍ.”
(سنن البيهقي، وصححه الألباني في صحيح الجامع: 1119)
অনুবাদ:
আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সালাত হলো জুমার দিনের ফজরের নামাজ জামাআতে আদায় করা।
ব্যাখ্যা:
এই হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যে, জুমার দিনের ফজরের নামাজের একটি বিশেষ ফজিলত রয়েছে। কারণ এটি জুমার দিনের সূচনা এবং এই দিনের গুরুত্ব বিবেচনায় আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়।
সংক্ষেপে:
হাদীসের রেফারেন্স: সহীহুল জামে (১১১৯)
রাবী: আবু হুরায়রা (রাযি.)
সূত্র: বায়হাকি, আলবানী সহীহ বলেছেন।
নিচে জুমআর দিনে ফজরের নামাজ জামাআতে আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে একটি সহীহ হাদীস তুলে ধরা হলো:
সহীহ হাদীস:
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:
“أفضلُ الصلواتِ عند اللهِ صلاةُ الصبحِ يومَ الجمعةِ في جماعةٍ.”
– رواه البيهقي في “السنن الكبرى” (3/172) – وصححه الألباني في “صحيح الجامع” (1119)
বাংলা অনুবাদ:
ইবনে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে উত্তম সালাত হলো জুমার দিনের ফজরের নামাজ জামাআতে আদায় করা।”
হাদীসের মান:
রাবী: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি.)
গ্রন্থ: সুনানুল কুবরা (ইমাম বায়হাকি)
হাদীস নং: সহীহুল জামে (১১১৯)
মুহাদ্দিসের মতামত: শাইখ আলবানী (রহ.) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
এই হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়, জুমার দিনের ফজরের নামায জামাআতে পড়া আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে পছন্দনীয় ও ফজিলতপূর্ণ। এটি শুধু ফজরের নামাজের ফজিলত নয়, বরং বিশেষভাবে জুমার দিনের ফজরের কথা বলা হয়েছে।