বিডিটি নিউজ ডেস্ক।
বাংলাদেশে আগামীকাল শনিবার উদযাপিত হবে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। সকাল থেকেই দেশজুড়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, নামাজ শেষে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কুরবানি করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।
এ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে জামাত সরিয়ে নেয়া হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে, সকাল ৮টায়।
দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত আয়োজিত হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সকাল ৯টায়। সেখানে ইমামতি করবেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহ। পাশাপাশি দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানেও বড় পরিসরে জামাতের আয়োজন রয়েছে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরগুলোতে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী শত শত ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ, রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, খুলনার সার্কিট হাউস মাঠ, সিলেটের শাহী ঈদগাহ ও বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ—সবখানেই সকাল সকাল জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-এর ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের অনন্য নজির স্মরণে উদযাপিত হয়। এই দিনে পশু কুরবানি ইসলামে ওয়াজিব হিসেবে বিবেচিত।
ঈদকে ঘিরে সরকারিভাবে হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা ও শিশু সদনে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় সংবাদপত্রগুলো ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে, টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলো প্রচার করছে অনুষ্ঠানমালা।
ঈদ জামাতগুলো নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।