ডেস্ক নিউজ।
গাজায় সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক বা আরব বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একইসঙ্গে তিনি গাজার শাসক হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে পাঠানো এক চিঠিতে এসব প্রস্তাব দিয়েছেন আব্বাস। ফ্রান্স মঙ্গলবার জানায়, গাজায় সহিংসতা বন্ধে এটিকে একটি সম্ভাব্য পথ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
চিঠিতে আব্বাস বলেন, “হামাস আর গাজা শাসন করতে পারবে না।” তিনি জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী গাজায় সুরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানাতে তিনি প্রস্তুত।
ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ‘দৃঢ় সংকল্প’ প্রকাশ করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট মাখোঁ হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের শর্ত দিয়েছেন। ফ্রান্সের মতে, শান্তিপূর্ণ দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথে এটি একটি আবশ্যক ধাপ।
এর মধ্যেই গাজায় চলমান সংঘাতে পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠেছে। আজ মধ্য গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক। ইসরায়েল এ ঘটনাকে “সতর্কতামূলক গুলি” বলে উল্লেখ করেছে।
গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে দীর্ঘ ১১ সপ্তাহ পর সীমিত পরিমাণে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) ত্রাণ সরবরাহ করলেও, জাতিসংঘ এর মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জনের বেশি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ চালিয়ে আসছে। এতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সর্বশেষ হামলায় নিহত হয়েছেন সাংবাদিক মোয়ামেন মোহাম্মদ আবু আল-আউফ। এর মধ্য দিয়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭।
জাতিসংঘের এক স্বাধীন তদন্ত কমিশন বলেছে, ইসরায়েলের এসব হামলা যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং “ফিলিস্তিনিদের নিশ্চিহ্ন করার” লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কমিশনের চেয়ারম্যান নাভি পিল্লাই বলেন, “গাজার শিশুরা তাদের শৈশব হারিয়েছে। এখন তারা অনাহার ও অনিশ্চয়তার মধ্যে বেঁচে থাকার লড়াই করছে।