ডেস্ক নিউজ।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। একইসাথে দেশটি সৌদি আরব, তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে।
তেহরানের প্রভাবশালী রাজনীতিক ও সাবেক কমান্ডার মহসেন রেজাই সোমবার বলেন, “মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এখন ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় একত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে একটি নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারে। যদি প্রস্তাবিত যৌথ বাহিনী গঠিত হয়, তবে তা আঞ্চলিক সংকটকে বৈশ্বিক সংঘাতে রূপ দিতে পারে। এতে সৌদি-ইরান সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়বে এবং মার্কিন-ইসরায়েল জোটের প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালেই ইরান ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। হামলায় বেশ কিছু আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তেল আবিবস্থ দূতাবাসও। আংশিক ক্ষয়ক্ষতির কারণে দূতাবাসটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমাদের ঘাঁটি বা স্বার্থে হামলা হলে, ওয়াশিংটন সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। কেউ যেন আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়।”
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ না হলে মধ্যপ্রাচ্য ভয়াবহ এক সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।