ডেস্ক নিউজ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন—এমন ইঙ্গিত মিলছে তার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ ও বক্তব্য থেকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং এরপর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ রুমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে একাধিক পোস্টে ইরানের আত্মসমর্পণের দাবি জানান এবং বলেন, “আমরা জানি আপনি কোথায় আছেন, কিন্তু এখনই হত্যা করব না”—যা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়। এসব বক্তব্যে তিনি বারবার “আমরা” শব্দটি ব্যবহার করেন, যা বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ সামরিক উদ্যোগের ইঙ্গিত বহন করে।
ট্রাম্প শীর্ষ মন্ত্রিসভার সদস্য ও সামরিক জেনারেলদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। এমনকি তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা করেন—যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।
এদিকে বুধবার সকালে ইরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের পঞ্চম এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। ইরানের ভারামিন শহরের কাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান ওই অঞ্চলের গভর্নর হোসেইন আব্বাসি। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা জানায়, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ‘উন্নত’ এই যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে।
এর আগে ইরান আরও চারটি এফ-৩৫ ভূপাতিত করার দাবি করে। অর্থাৎ, তাদের দাবি অনুযায়ী ইসরায়েল ইতোমধ্যে পাঁচটি এফ-৩৫ হারিয়েছে। তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কোনো যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর পাননি বলে জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত বলে ধরা হয়। এই বিমানের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর ‘স্টিলথ’ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে এটি রাডারে ধরা না দিয়ে অতিদ্রুত চলাচল করতে পারে।
বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প আসলে কী পদক্ষেপ নেবেন—সেটিই এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।