ডেস্ক নিউজ।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন থেকে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। শনিবার (২১ জুন) পরিচালিত এই অভিযানে ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান এলাকায় ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জানান, ইরান কূটনীতির পথে না ফিরলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর ভাষায়, ‘‘ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে, চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’’
এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, মিজৌরি থেকে উড্ডয়ন করা ৬টি বি-২ বোমারু বিমান মাঝ আকাশে একাধিকবার জ্বালানি নিয়ে প্রায় ৩৭ ঘণ্টা উড়ে গিয়ে ইরানে হামলা চালায়। ফর্দো স্থাপনায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজন বাংকারবিধ্বংসী বোমা (GBU-57) ফেলা হয়। আর সাবমেরিন থেকে ছোড়া হয় ৩০টি টিএলএএম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যেগুলো নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়।
এই প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে এত ভারী বাংকারবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করল। একই কর্মকর্তা আরও জানান, একটি বি-২ বিমান নাতাঞ্জে আরও দুটি বোমা ফেলে।
এদিকে ইরান হামলার সত্যতা স্বীকার করলেও দাবি করেছে, ওই পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আগে থেকেই খালি করা ছিল। ফলে সেখানে এমন কিছু ছিল না যা বিকিরণ সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
এই হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরান-সংঘাতে যুক্ত হলো বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও বাড়তে পারে।