ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশই ইসরায়েলি সেনারা দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনে গাজা যেন সাক্ষাৎ নরকে পরিণত হয়েছে। অসহায় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে সংকীর্ণ অঞ্চলের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
স্টিফেন ডুজারিক অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার বাসিন্দাদের জরুরি সহায়তা পাওয়া থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত করছে এবং বিপদের মধ্যে থাকা মানুষের কাছে ত্রাণকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন করে তুলছে।
তিনি জানান, সবশেষ খান ইউনিসের দুটি এলাকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষের জন্য উচ্ছেদ আদেশ দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের পানি, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করা অংশীজনেরা জানিয়েছেন, এই আদেশের কারণে আল সাতার নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধারে এখন প্রবেশ করা যাচ্ছে না, যা খান ইউনিসের প্রধান পানি সরবরাহ কেন্দ্র এবং ইসরায়েলি পাইপলাইন থেকে আসা পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
ডুজারিক সতর্ক করে বলেন, এই জলাধারটির কোনো ক্ষতি হলে শহরের পানি সরবরাহব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, যা ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের উচ্ছেদ আদেশগুলো জরুরি পরিষেবার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং মানুষকে ক্রমেই আরও সংকীর্ণ এলাকার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
জাতিসংঘের এ মুখপাত্রের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গতকাল (২ জুলাই) পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আবার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শুধু গত রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত মাত্র ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত চার মাসে গাজায় কোনো আশ্রয় সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এবং জরিপ করা স্থানগুলোর ৯৭ শতাংশ এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছেন।