ডেস্ক নিউজ।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিভিন্ন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ও মানবিক সহায়তা বহরের আশপাশে অন্তত ৬১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর। এর মধ্যে ৫০৯ জন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) বিতরণকেন্দ্রের আশেপাশে নিহত হন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, “আমরা ২৭ জুন পর্যন্ত ৬১৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নথিভুক্ত করেছি। এরপর আরও কিছু হামলার খবর এসেছে।”
জাতিসংঘ-নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাকে এড়িয়ে জিএইচএফ যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় গাজায় ত্রাণ সরবরাহ করছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করে, জাতিসংঘের ব্যবস্থায় হামাস ত্রাণ ছিনিয়ে নিচ্ছে, জাতিসংঘ জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাকে ‘বিপজ্জনক’ ও ‘মানবিক নিরপেক্ষতার লঙ্ঘন’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
জিএইচএফ জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিকে গাজায় খাদ্য বিতরণ শুরু করে এবং ৫ সপ্তাহে ৫ কোটির বেশি খাবার বিতরণ করেছে। সংস্থাটি দাবি করে, তাদের বিতরণকেন্দ্রে কোনও হামলা হয়নি। তবে জাতিসংঘ বলছে, তাদের হিসাব হাসপাতাল, কবরস্থান, পরিবার, এনজিও এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, কিছু সহিংস লুটপাট এবং চালকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র এরি কানেকো বলেন, “দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের দায়িত্ব গাজায় আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং আরও বেশি ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনও মন্তব্য আসেনি।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজার অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, ফলে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।