বাঘারপাড়া প্রতিনিধি। যশোরের বাঘারপাড়ায় নিজ ঘরের ইস্টিলের বাক্স থেকে সুচিত্রা দেবনাথ (৫৮) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এসময় হত্যাকারী সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়। বুধবার (৯ জুলাই)রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ঘোষনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও বাঘারপাড়া থানা সূত্রে জানা যায়,বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামে নিজ ঘরের ইস্টিলের বাক্স থেকে সুচিত্রা দেবনাথের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সুচিত্রার স্বামীই তাকে হত্যা করে লাশ বাক্সে লুকিযে রেখেছিলো। পরে স্ত্রীকে না পাওয়ার নাটক তৈরি করে ওই গ্রামের বাসিন্দা স্বামী তপন দেবনাথ।
সূত্রে আরও জানা গেছে , বুধবার সকাল ৬টার দিকে সুচিত্রা দেবনাথকে জীবিত অবস্থায় শেষবারের মতো দেখা যায়। এরপর সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে তার স্বামী তপন দেবনাথ যশোর শহরের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি ফিরে এসে তিনি স্ত্রীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় চারপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি নিজ বসত ঘরের ভেতরে রাখা কাপড়ের ইস্টিলের বক্স খুলে দেখতে পান, ভেতরে লেপ ও কাপড়ের নিচে স্ত্রীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এসময় তিনি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, সুচিত্রা দেবনাথকে ধারালো কিছু দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ লুকাতে ইস্টিলের বক্সে রেখে কাপড় ও লেপ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। স্থানীয়দের অনেকেই জানান, নিহত সুচিত্রার সঙ্গে তার স্বামী তপন দেবনাথের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত।
বাঘারপাড়া থানার ওসি তাইজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামী স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব ছিলো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী নিজেই হত্যা করে নাটক সাজিয়েছিলো। স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।