মামুন রণবীর, নেত্রকোণা
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার অভিযান চালিয়ে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার চায়না মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে সোহাগ হত্যা মামলায় সাতজন গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারকৃত নতুন দুইজনের মধ্যে এজাহারনামীয় সাত নম্বর আসামী সজিব ব্যাপারী, অপরজন ১০ নম্বর আসামি রাজিব ব্যাপারী।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ।
পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ নেত্রকোণা পুলিশের সহায়তায় দুর্গাপুরের চায়না মোড় এলাকায় গত রাত সাড়ে চারটার দিকে অভিযান চালায়। এই অভিযানে ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সজিব ও রাজিব আপন দুই ভাই।
এদিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভাঙারি ব্যবসা ও দোকানে কারা ব্যবসা করবে, তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিহত সোহাগ ও অভিযুক্তরা আগে একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। লেনদেন ও অংশীদারত্ব নিয়ে মতবিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত ঘটে।
গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করে।
নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে পরদিন কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, টিটন গাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের অভিযানে আলমগীর ও মনির ওরফে ছোট মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।