চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায় ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর আহত কার্ড সংগ্রহ করতে এসে এক আওয়ামী লীগ কর্মী জনরোষের মুখে পড়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি, তিনি ৪ তারিখে হাইমচর উপজেলা ছাত্র জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপরে হামলায় অংশ নেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে আন্দোলনে অংশ নেননি বরং আন্দোলনের দিন (৫ আগস্ট) নুর হোসেন পাটোয়ারীর বাড়িতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে পরবর্তীতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি সরকারি সহায়তার আশায় ‘আহত আন্দোলনকারী’ পরিচয়ে উপজেলা কার্যালয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে যান। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে চিহ্নিত করে প্রশ্ন তোলে— একজন আওয়ামী লীগ কর্মী কীভাবে আন্দোলনকারী হিসেবে কার্ড পেলেন?বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে ছাত্রজনতা সাধারণ মানুষের মধ্যে ।
অনেকে বলছেন, এই ধরনের ভুয়া দাবিদারদের কারণে প্রকৃত আন্দোলনকারীরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর চেতনা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত আহতদের তালিকা প্রকাশ ও ভুয়া দাবিদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।