বিশেষ প্রতিনিধি ।
ফেনীতে দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পাচারের চেষ্টাকালে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্যমতে তিনি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ‘দালাল’; তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজপত্র।
রোববার রাতে শহরের মহিপাল পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটকের পর সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. গোলাম মোস্তফা।
গ্রেপ্তার মো. আব্দুল মান্নান (৩৪) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার কালিকৃষ্ণনগর এলাকার নতুন বাড়ির শফিকুর রহমানের ছেলে।
এসআই মোস্তফা বলেন, রোববার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মহিপাল সিক্সলেন ফ্লাইওভার সংলগ্ন পাসপোর্ট অফিসের পাশে ফারহান ট্রাভেল কাউন্টারের সামনে থেকে দুই রোহিঙ্গা নাগরিক ও স্থানীয় যুবক মান্নানকে আটক করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এসময় মান্নানের কাছ থেকে দেশীয় তিনটি পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যক্তির ১৭টি জাতীয় পরিচয়পত্র, বেশকিছু জন্মনিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট তৈরির বিভিন্ন প্রকারের জাল কাগজপত্র ও ৯৭০০ টাকা জব্দ করা হয়।
আটক অন্য দুজন হলেন- কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নম্বর ১০ ব্লক -#৩০ (১) মোঃ আরাফাত (২৫) পিতা মোঃ তৈয়ব – মাতা ফাতেমা আক্তার
(২) রমিদা (২৬) পিতা আশিউর রহমান – স্বামী জুবায়ের।
পুলিশের জিঙ্গাসাবাদে এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলেন, দালাল মান্নান ও তার সহযোগীরা বিদেশে পাঠানোর নাম করে অর্থের বিনিময় পাচারের উদ্দেশে তাদের দুজনকে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিয়ে আসে।
পরে তাদের ভারতীয় সীমান্তবর্তী পরশুরাম এলাকায় একদিন রেখে ফের ফেনী নিয়ে আসে। এ সময় অন্যের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট বানানোর কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
এসআই মোস্তফা আরও বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে দুই শরণার্থীকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের করার অভিযোগে আব্দুল মান্নানসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও চার-পাচঁ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আটক দুই রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আদালতে পাঠিয়ে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নেয়া হবে। পরে তাদের উখিয়া বালুখালী ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।
মামলার অপর দুই আসামিসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।