জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার জন্য সংশোধনী প্রস্তাব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মতামত দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহবান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন, ২০১৮-এর প্রয়োজনীয় সংশোধন আনয়নের লক্ষ্যে গত ১২ আগস্টের সভায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আইনের সংশোধনী প্রস্তাব কার্যবিবরণীর মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবের বিষয়ে মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে মেইলে (govt.sec2@moedu.gov.bd) মতামত পাঠানোর জন্য জনসাধারণকে বলা হয়েছে।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, এই আইন ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক (সংশোধন) বোর্ড অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। এর অধীন বিধিমালা প্রণয়নের সময় এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বোর্ডের কার্যাবলি হবে, পাঠ্যপুস্তকের মুদ্রণ, প্রকাশনা, বিতরণ এবং বিপণন। তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকসমূহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মুদ্রণ, প্রকাশনা ও বিতরণ করবে।
ধারা ৮ এর (জ) অনুযায়ী সরকার কর্তৃক ঘোষিত শ্রেণি ও স্তরসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেব; তবে শর্ত থাকে যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণ করবে।
বোর্ডের একজন পরিচালক থাকবেন। তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং তার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হবে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালক তার কার্য সম্পাদন করবেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আইনের সংশোধনী প্রস্তাব দেখতে এখানে ক্লিক করুন।