গোবিপ্রবি প্রতিনিধি। গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) সাহিত্যচর্চার সংগঠন গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি আজ ঘোষণা করা হয়েছে।
নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আছান উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কাউছার আহমেদ। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সমৃদ্ধ শিক্ষক উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। তাঁরা সংগঠনের অভিভাবক হিসেবে সাহিত্য সংসদকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দিকনির্দেশনা দেবেন।
সাহিত্য সংসদের নেতারা জানান, সাহিত্য জীবনের দর্পণ, যা সমাজের চিত্র তুলে ধরে। এই কমিটির হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে। খুব শিগগিরই সংগঠনটি একটি বইমেলার আয়োজন করবে।
গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক বিক্রম মণ্ডল বলেন, “এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের কাজ শুরু করেছে। আমাদের ‘সংশপ্তক’ সাহিত্য পত্রিকা খুব দ্রুতই আলোর মুখ দেখতে চলেছে।”
গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ নিয়মিত পাঠচক্র, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সৃজনশীল লেখালেখির পাশাপাশি ছোট কাগজ প্রকাশ ও সাহিত্যপত্র সম্পাদনার কাজও করছে। নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করায় শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্যচর্চার পরিসর আরও বিস্তৃত হবে।
সভাপতি আছান উল্লাহ বলেন গোবিপ্রবিতে বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান চর্চার অন্যতম প্লাটফর্ম গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ, বিশ্ববিদ্যালয় একটি উন্মুক্ত জায়গা এখানে একাডেমিকের বাহিরে নানামুখী জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ সেরা বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সাপ্তাহিক পাঠচক্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তোলে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ। ‘বলার আগে ভাবুন, ভাবার আগে পড়ুন’ এই স্লোগানকে ধারণ করে গোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুললে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবো। বই পড়ে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে রাষ্ট্র এবং ক্যারিয়ারে কাজে লাগাতে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিতে চাই। এবারের নতুন কমিটি গোবিপ্রবিকে অসাধারণ কিছু প্রোগ্রাম উপহার দিবে বলে আশা রাখছি।
সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদ বলেন- ক্যাম্পাসে পাঠচক্র ও জ্ঞানচর্চার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব সৃষ্টি করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সাহিত্য পত্রিকা ‘সংশপ্তক’ নিয়ে আমরা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করব। পত্রিকাটি গোবিপ্রবির সাহিত্য চর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।