কাতারে হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি হামলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা ইসরায়েলের ভেতরে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে। হামলায় অন্তত পাঁচজন হামাস কর্মকর্তা এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে ত্রি-পক্ষীয় ফোন কলে নেতানিয়াহু ক্ষমা চান। তিনি স্বীকার করেন, কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হয়েছে এবং প্রতিশ্রুতি দেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আর হবে না।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তাকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। দোহা আরও বলেছে, তারা গাজার শান্তি প্রচেষ্টায় মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলের ভেতরে এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির কাতারকে ‘সন্ত্রাসবাদ সমর্থক রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করে হামলাকে ‘ন্যায্য ও নৈতিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ নেতানিয়াহুর পদক্ষেপকে “লজ্জাজনক চাটুকারিতা” বলেছেন। সাবেক সামরিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগডোর লিবারম্যান একে “অবিশ্বাস্য” বলে আখ্যা দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ক্ষমা প্রার্থনা ডানপন্থী রাজনীতিতে বিভাজন গভীর করেছে এবং ইসরায়েলের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছে বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের আতিথ্য দিয়ে আসা কাতার দীর্ঘদিন ধরে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ে মূল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে।